বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
রিকন বড়ুয়া:
কক্সবাজার পৌরসভার শুটকিপল্লী খ্যাত নাজিরারটেক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতাররা হলেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোমের সোনাদিয়ার নুরু মিয়া সৈয়দুল করিম (৩০), নবীর হোসেনের ছেলে সাগর (২২), ধলঘাটার আকতার হোছাইনের ছেলে রুহুল কাদের (২২), হাজী আবু তাহেরের (মৃত) ছেলে এছাম উদ্দিন আব্দুল্লাহ (১৯), কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিলের মোহাম্মদ আলমের ছেলে দেলোয়ার (২২), উপজেলার বড়খোপের মাতবর পাড়ার ইউসুফ আলীর (মৃত) ছেলে পারভেজ আলম (২৪) ও কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ঘোনারপাড়ার নুরুল হকের (মৃত) ছেলে আবদুল মাবুদ (২৭)।
আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গোপন সূত্রে র্যাব জানতে পারে কক্সবাজার সদরের পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক চরপাড়ায় বালুরচরে একটি ডাকাত দল ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে র্যাবের একটি দল ওই স্থানে বিশেষ অভিযান চালায়। ডাকাতরা র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দেশীয় অস্ত্রসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তবে চক্রের দুজন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি একনালা বন্দুক, দুটি এলজি, ৯টি তাজা কার্তুজ, দুটি দামা, একটি রাম দা, চারটি বাটন ও একটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে নাজিরারটেকের বালুর চরে একত্রিত হয়ে সাগরে মাছ ধরা ট্রলারের মাছ এবং জাল ডাকাতি করে থাকেন বলে স্বীকার করেছেন চক্রটির সদস্যরা। এছাড়াও তারা কক্সবাজারে আসা পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের থেকে নগদ টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রী ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা এবং অস্ত্রের একাধিক মামলা রয়েছে।
জব্দকৃত আলামতসহ গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর মডেল থানায় লিখিত মামলা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আবু সালাম চৌধুরী।
ভয়েস/জেইউ।