মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, কে নির্বাচিত হবে এবং কে নির্বাচিত হবে না‑ এগুলো ভোটের আগে থেকে ঠিক করা ছিল। এই পরিস্থিতিতে আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করি।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কম্বল প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, হাজার কোটি টাকা খরচ করে এ সরকার মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল তৈরি করেছে। তাদেরকে বলতে চাই‑ তাহলে গরিব মানুষদেরকে কেন একটা কম্বল দিতে পারে না? আমরা এই নির্বাচন বর্জন করেছি এবং আমাদের লক্ষ্য দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের সামনে হাজির হয়েছি। এই দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশে আনন্দ উৎসব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এই দিনে ভিখারি মানুষদের কাছে কম্বল বিতরণ করতে হয়। আজ গায়ের জোরে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নিজেদেরকে সরকার বলে দাবি করে তাদেরকে প্রশ্ন করতে হবে, আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ কী চায়? গত কয়েকমাস ধরে আমরা শুনছি যারা বর্তমান সরকারের পক্ষে আছে তারা বলছে যে বাংলাদেশ নাকি বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ। তাহলে আমি প্রশ্ন করতে চাই, এই দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে কেন গরিব মানুষদের কাছে কম্বল বিতরণ করতে হচ্ছে? তাহলে উন্নয়নটা কোথায়?
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিশ্ববাসী জানে গত ৭ জানুয়ারি এদেশে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ভোট বর্জন করেছে। নির্বাচনের এই স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপারে কেবল বিএনপিও নয়, আ.লীগের ভোটাররাও সমালোচনা করেছে। কে নির্বাচিত হবে এবং কে নির্বাচিত হবে না এগুলো ভোটের আগে থেকে ঠিক করা ছিল। এই পরিস্থিতিতে আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করি। রক্তের বিনিময়ে আমরা যে দেশ অর্জন করেছি সেই রক্তের দামকে আমরা বৃথা যেতে দেবো না। বাংলাদেশ তৈরি হয়েছিল গরিব মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য।
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব)- সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস/জেইউ।