শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

নির্বাচনের ফলাফলে এগিয়ে ইমরানের দল, ১২ মামলায় জামিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্য সব দলের তুলনায় এগিয়ে আছেন। এখন পর্যন্ত পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয়লাভ করেছেন। একই দিনে ইমরান খান আরও একটি সুখবর পেয়েছেন। গত বছরের ৯ মে মাসে সেনা স্থাপনায় ভাঙচুরের মামলাসহ মোট ১২টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের পাশাপাশি তাঁর দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশি সেনা স্থাপনায় ভাঙচুরের মামলাসহ ১৩টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতের বিচারক মালিক এজাজ ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব জামিন মঞ্জুর করেন।

ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির জামিন আবেদনের বিপরীতে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলার শুনানির জন্য অতিরিক্ত সময়ের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দুজনেরই মামলাগুলোতে জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে, পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৯ মের দাঙ্গা সম্পর্কিত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে। সেখানে বলা হয়েছে—পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পরে সামরিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করা হয়েছিল। তবে ঘটনাগুলো পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে প্রকাশ করেছে।

পাঞ্জাব সরকার প্রকাশিত ১৭ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাকিস্তানের আইন ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি অনুমোদন করেছে। প্রতিবেদনে আনুষ্ঠানিকভাবে লাহোরে ৯ মে সহিংসতার জন্য ইমরান খান ও পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দায়ী করা হয়।

প্রতিবেদনে ৯ মে সংঘটিত ঘটনাগুলোকে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, সামরিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এই হামলাগুলো পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্বের নির্দেশে করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে পিটিআই নেতৃত্ব হাম্মাদ আজহার, ডক্টর ইয়াসমিন রশিদ, এজাজ চৌধুরী, গোলাম মহিউদ্দিন, মিয়া মাহমুদুর রশিদ, উমর সরফরাজ চিমা, মানসাব আওয়ান, আজম খান নিয়াজি, বাজাশ নিয়াজি ও মুরাদ রাসের মতো ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশদাতা হিসেবে।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION