মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
ক্ষমতা দখলকারী সরকারকে একদিন জনগণের ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করতে হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। রোববার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বাংলাদেশে এই সরকারকে এই কথা স্বীকার করতেই হবে যে তারা যদি একদিন বলে থাকে তারা সোনার বাংলা তৈরি করতে চান, তারা যদি বলে থাকে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাহলে তাদেরকে জনগণের ইচ্ছার কাছে আজ হোক কাল হোক নতি স্বীকার করতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) যদি মনে করে, বুলেটের জোরে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে তারা জনগণের টুটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন তাদের ভেঙে যাবে। আজকে একথা স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, মানুষের ভালোবাসা না পাওয়া গেলে… সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারে গায়ের জোরে, বন্দুকের জোরে, বুলেটের জোরে কিন্তু এই পথে তারা কোনো দিন ইতিহাসের পাতায় স্থান করতে পারবে না। যতদিন বাংলাদেশের মানুষ, ১৭ কোটি মানুষ তাদের সেই মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার সেই অধিকার তারা প্রতিষ্ঠিত করবেই করবে।’
গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়াসহ দ্বাদশ সংসদের ‘একতরফা’ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘তিনি বলেন, আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এদেশের মানুষ আজ বুভুক্ষু। যে বাংলাদেশের জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কি জবাব দেব? যে সোনার বাংলার কথা আওয়ামী লীগ সরকার বলে থাকে, তারা কি করে? এই বাংলাদেশের জন্য কি লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল?’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানিদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঢাকায় লক্ষ মানুষের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলনের জন্য আসম আবদুর রবকে ‘স্যালুট’ জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে ৩ মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপি আসম আবদুর রব বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।
ভয়েস/আআ