মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইরানের হামলা কি বড় যুদ্ধ এড়াব

মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি:
দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে রবিবার রাতে সরাসরি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান শত শত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইরানের করা এ হামলা বেশ কিছু বড় রাজনৈতিক ও সামরিক নজির স্থাপন করেছে। এটি কোনো দেশের দ্বারা পরিচালিত একক বৃহত্তম ড্রোন হামলা এবং প্রায় অর্ধ শতাব্দীর আর্কএনেমি বা প্রধান শত্রু হওয়ার পরও ইরান এই প্রথম সরাসরি ইসরায়েলে আক্রমণ করেছে। এর ফলে তেহরানকে কী ধরনের রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে হতে পারে, তা নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এ হামলা একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

রাজনীতি : ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (ওজএঈ) অপারেশনটিকে ‘সত্য প্রতিশ্রুতি’ বলে আখ্যায়িত করেছে। তেহরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষ নেতারা ইসরায়েল এবং অন্যদের সমস্ত আক্রমণ ও ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের হত্যার যে প্রতিশোধ ও ‘শাস্তি’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করতে চায় দেশটি।

এ হামলাটি মূলত গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া। কূটনৈতিক মিশনে হামলা ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘনের ইঙ্গিত দেয় এবং যেহেতু জাতিসংঘ সনদেও ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদে আত্মরক্ষার ‘অন্তর্নিহিত অধিকার’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই ইরানের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তিসংগত যুক্তি থাকবে।

উক্ত হামলায় সিরিয়া ও লেবাননে নেতৃত্বদানকারী অপারেশনের দায়িত্বে থাকা দুই জেনারেল এবং আরও ছয়জনসহ মোট সাতজন আইআরজিসি সদস্যকে হত্যা করা হয়।

বিশেষ করে ইরাকে শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দ্বারা ক্রমবর্ধমান সংঘাতমূলক নীতি এবং এই অঞ্চল জুড়ে সামরিক হামলার প্রত্যক্ষ ফলাফল হলো ইরানের আলোচ্য এ আক্রমণ। গাজা যুদ্ধের পতনের মধ্যে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার আরেক শীর্ষ আইআরজিসি কমান্ডার রাজি মুসাভিকে ডিসেম্বরের শেষের দিকে হত্যার পর ইরানি কর্মকর্তারা ‘কৌশলগত ধৈর্য’ ধারণ করেছিলেন বলে বিশ্লেষকরা মতামত দিয়েছেন। যা নিষ্ক্রিয়তা, নিম্ন-গ্রেডের স্ট্রাইক, বা অঞ্চল জুড়ে সমন্বিত গোষ্ঠীগুলোর ‘প্রতিরোধী অক্ষশক্তি’র মাধ্যমে সামরিক পদক্ষেপে সন্তুষ্ট থাকার নীতিগত কৌশলকে স্থানীয়ভাবে এবং বিদেশেও ইরানের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক বিবেচনা তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিবদমান ইসরায়েলি সরকার এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াতে এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ইরানের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নিতে উৎসাহ বা ইন্ধন জোগাতে পারে। অন্যদিকে, নজিরবিহীন ইরানি হামলা হয়তো গাজা উপত্যকায় কয়েক হাজার নারী ও শিশুর মৃত্যু থেকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে, কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদে মুসলিম বিশ্বে ইরানের জন্য সফট পাওয়ার লাভের ইশারা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশেষ করে যখন অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে ইরানকে তুলনা করা হয়।

ইরানের প্রধান সামরিক হালচাল : ইসরায়েলে হামলা চালানোর জন্য ইরান ঠিক কতটি ড্রোন বা ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে সে সম্পর্কে দেশটির সরকারের তরফ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব দেওয়া হয়নি। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং সেসব ক্ষেপণাস্ত্র তাদের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে বৃষ্টিপাতের মতো ঝরেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রবিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামলায় প্রায় ৫০ কেজি (১১০ পাউন্ড) ওজনের অপেক্ষাকৃত ছোট ওয়ারহেড বহনকারী শাহেদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

ওজএঈ-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলো বলেছে যে, ১৩৬ মডেলের প্রোপেলারের পরিবর্তে একটি টার্বোজেট দ্বারা চালিত শাহেদ-২৩৮ও আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছে। ২৩৮ মডেলটি উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চগতির বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং প্রতি ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছায় বলে মনে করা হয়। ইরান দীর্ঘকাল ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগারের অধিকারী বলে পরিচিত, তবে এ আক্রমণটি ছিল তার সক্ষমতার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইমাদ দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পাভেহ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে, ইসরায়েলের পালমাচিম বিমানঘাঁটিতে হামলার অনুরূপ বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ায় আইআরজিসি এমাদ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এবং একটি যুদ্ধজাহাজ থেকেও ডেজফুল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। ইরানের কাছে ফাত্তাহও রয়েছে। এটি একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যা তাত্ত্বিকভাবে ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারে মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে। রবিবারের প্রথম দিকের হামলায় এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

যেভাবেই হোক, কয়েক ঘণ্টা ধরে বহুস্তরীয় আক্রমণে, ইরান সবেমাত্র তার সর্ববৃহৎ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করতে পেরেছে যা একটি বাস্তব সামরিক অভিযানে তাদের অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ার দিকে বাস্তবিক উদ্দীপনা প্রদান করতে পারে। আইআরজিসি কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেন সালামি বলেছেন, ‘অপারেশনটি সাফল্যের একটি স্তর অর্জন করেছে যা আমাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেছেন যে, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শুধুমাত্র সামরিক অঞ্চলকেই লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার মধ্যে নেগেভ মরুভূমিতে নেভাটিম বিমানঘাঁটি রয়েছে যা সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।’

অর্থনৈতিক প্রভাব : ইরানের নেতাদের হিসাব-নিকাশে রাজনৈতিক ও সামরিক মাত্রার তুলনায় ইতিমধ্যেই সমস্যায় পড়া দেশটির অর্থনীতিতে ঐতিহাসিক এই হামলাটির প্রভাব সম্ভবত কম ছিল। কারণ তারা কনস্যুলেট হামলার পর থেকে প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল।

কিন্তু প্রত্যাশিত হিসাবেই স্থানীয় বাজারে একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বিদেশি মুদ্রার ঊর্ধ্বগতি ও ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এ দ্বন্দ্বটি আরও একটি আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।

ইসরায়েলে হামলার পরপরই ইরানের পতনশীল জাতীয় মুদ্রা রিয়াল কিছুটা স্থিরতা ফিরে পাওয়ার আগেই সর্বকালের সর্বনিম্ন রেকর্ডে নেমে আসে। গত রবিবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের বিনিময় হার দাঁড়িয়েছিল ৬৭,০০০০। আধা-সরকারি তাসনিম নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে যে, তেহরান এবং অন্যান্য বাজারে খুব কম মুদ্রা এবং সোনার লেনদেন হচ্ছে। কারণ জনসাধারণ অর্থনৈতিক সতর্কতা অবলম্বন করেছেন এবং এই সতর্কতাই বাজারে বেশি প্রভাবশালী। তেহরানের প্রসিকিউটর অফিস ঘোষণা করেছে, ‘সমাজের মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তাকে বিঘিœত করা এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশকে বিঘিœত করা’র কারণে একজন নামহীন সাংবাদিক এবং জাহান-ই সনাত পত্রিকার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

আক্রমণের নেপথ্য কারণ অমীমাংসিত : ইরানের আক্রমণটি কি আসলেই ইসরায়েলে সত্যিকারের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর জন্য? নাকি নতুন করে একটি বড় যুদ্ধ এড়াতে গিয়ে ‘প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি’ রক্ষার নাম করে নিজের ঘরে মুখ বাঁচানোর জন্য হামলাটি করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তরে বিশ্লেষকরা একাধিক মত পোষণ করেন।

তেল আবিবের জাতীয় নিরাপত্তা স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে মোসাদের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা সিমা শাইনের মতে, ‘ইরানিরা এই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েছিল যে ইসরায়েলের একটি খুব, খুব শক্তিশালী বহু-স্তরবিশিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে এবং তারা সম্ভবত বিবেচনা করেছিল যে খুব বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটবে না।’ অন্যদিকে, ইরানের এই আক্রমণ গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণ ও ৩৩,০০০ মানুষকে হত্যার বিরল প্রতিদান হিসেবে সাধুবাদ পেয়েছে। গাজা শহরের মাজেদ আবু হামজা বলেন, ‘ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আমাদের হত্যা করা হচ্ছে এবং কেউ কিছু করার সাহস করেনি। এখন ইরান তার কনস্যুলেটে আঘাত হানার পর ইসরায়েলকে পাল্টা আঘাত করছে এবং এটি আমাদের হৃদয়ে আনন্দ নিয়ে এসেছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইরান-সমর্থিত হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েল পালটা আক্রমণের ঘটনায় লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরাকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর পুরো ফ্রন্টে ইসরায়েল-বিরোধী প্রতিরোধী তৎপরতা ছড়িয়ে দিয়েছিল। ইসরায়েল যদিও তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অন্য কোনো দেশ থেকে প্রথম সরাসরি আক্রমণের শঙ্কা তৈরি করে রেখেছিল বা তেমন আবহ জারি রেখে আসছিল। ষাট বছর বয়সী জেরেমি স্মিথ বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের এখন প্রতিক্রিয়া দেখানোর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আমি বলতে চাচ্ছি এটি ইরানের কাছ থেকে একটি বড় আক্রমণ ছিল… আমি আশা করি ইসরায়েল এ আক্রমণে সাড়া দেবে এবং এ যুদ্ধ দ্রুত শেষ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে।’ ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কয়েকটি শহরে আক্রমণ উদযাপনের বেশ কিছু ছোট ছোট জমায়েতের ভিডিও প্রচার করেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে কিছু ইরানি ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত ছিল। তেহরানের একজন নার্স শিমা বলেন, ‘ইরান নেতানিয়াহুকে আমাদের দেশে আক্রমণ করার সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু এই সংঘাতের খেসারত বহন করতে হবে আমাদের, ইরানের জনগণকে।’

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান : প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে অংশ নেবে না। মধ্যপ্রাচ্যের চিরশত্রুদের মধ্যে খোলামেলা যুদ্ধ শুরুর হুমকি এবং এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে নিয়ে যাওয়ার হুমকি এই অঞ্চল জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। ফলে মার্কিন দপ্তর বৈশ্বিক শক্তি এবং আরব দেশগুলোর ব্যাপারে নিজেদের সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এই অঞ্চলের জনগণ একটি ধ্বংসাত্মক পূর্ণ মাত্রার সংঘাতের বাস্তবিক বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে। এখনই সময় এসব প্রশমিত করার এবং যুদ্ধমুখী উত্তেজনা কমানোর।’ জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড দ্ব্যর্থহীনভাবে ইরানের হামলার নিন্দা করতে পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় ঘোষণা করছি যে, যদি ইরান বা তার প্রক্সিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় বা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেয় তবে শুধু ইরানই দায়ী হবে।’ তথাপি মার্কিন হামলার বিষয়ে বাইডেন নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের কোনো পাল্টা আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেবে না।

মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনও সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর এবং জর্ডানসহ প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উত্তেজনা এড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। যদিও তিনি এমন একটি সমন্বিত কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্র্তৃক ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার সমর্থনকে অব্যাহত রাখার প্রয়াসকে সংরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর।

আল-জাজিরা ও গার্ডিয়ান অবলম্বনে।

লেখক: অনুবাদক ও কলাম লেখক

dularehe@gmail.com

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION