মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
হাসান আল মামুন:
পবিত্র রমজান মাসে পরকালের পাথেয় হিসেবে আমরা কী পেলাম? প্রত্যাশিত কল্যাণের কতটুকু অর্জন করলাম? আগামী রমজান যদি না পাই তবে কি তা আমাদের পরকালের পাথেয় হিসেবে যথেষ্ট হবে? রমজানের এক মাসে পুণ্যের তহবিল কতটুকু ভারী হলো আমাদের? রমজান শেষে আজ একটু খতিয়ে দেখা দরকার।
রমজানের রোজার দিনগুলোতে কোনো ভুলত্রুটি হয়েছে কি না, অনিচ্ছাকৃত কোনো গুনাহ হয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। যেন সেসব ভুলত্রুটি থেকে তওবা করা যায়। আর অতীত হয়ে যাওয়া রমজানের দিনগুলোতে আমরা কতটা নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করতে পেরেছি?
এক মাসে আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, রমজানের আগমনে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সুশৃঙ্খল ও নিয়মানুবর্তিতা তৈরি হয়। মানুষের চালচলনে থাকে কোমলতার ছোঁয়া। মানুষ কথাবার্তায় হয় খুব সংযমী। সমাজ ও রাষ্ট্র চিত্রে আসে কল্যাণকর পরিবর্তন। রমজান পালনের সুবিধার্থে বন্ধ রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অফিস-আদালতের জন্য নির্ধারণ করা হয় নতুন সময়সূচি। দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য গ্রহণ করা হয় নানা উদ্যোগ। মসজিদগুলো হয় ইবাদত মুখর। মানুষের মাঝে দেখা যায় ভালো কাজের প্রতিযোগিতা। মানুষ বেশি বেশি দান-সদকা করে। ফরজের পাশাপাশি মনোযোগী হয় নফল আদায়ে। সর্বত্র হয় সততার চর্চা। রমজানের আগমনে এভাবে দেশের সর্বত্র বিরাজ করেছিল এক ধর্মীয় আবহ। এই ধর্মীয় আবহ এবং সততার চর্চা বছরের বাকি এগারো মাসেও ধরে রাখতে হবে। তাহলে রমজান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে যথাসম্ভব নেক ও পুণ্যের কাজ করে আখিরাতের জন্য কিছু পাথেয় সঞ্চয় করে যাওয়া উচিত।
ভয়েস/আআ