শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সরকার নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান যশোরে আজকেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৪০ মিয়ানমার বিজিপি সদস্যের বাংলাদেশে আশ্রয় অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নে কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা খুবই ঝুকিপূর্ণ-বিএফআইইউ প্রধান মো মাসুদ বিশ্বাস বহিষ্কারে কোণঠাসা পেকুয়ার বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু বাবার মতো রাজনীতিতে নামছেন সোনাক্ষী? যেভাবে গোসল করলে ত্বক কোমল থাকে বদির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের জিডি বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ সিরিজের যুক্তরাষ্ট্র দল ঘোষণা

দৌলতদিয়ায় শুটিং করাটা জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা

বিনোদন ডেস্ক:
একটি যৌনপল্লী, যার ভেতরের অবস্থা অবর্ণনীয়। যেখানে মেয়েদের এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শুধু যে পতিতাবৃত্তি করেই জীবনযাপন করতে হয় তা নয়, এর বাইরেও রয়েছে অনেক নির্মম ঘটনা। এসব সহ্য করে দিনযাপন করে মেয়েরা এমনই একটি যৌনপল্লীতে হাজির হন একজন ত্রাতা। দেবীরূপী ত্রাতা যৌনপল্লীর অসহায় নারীদের জীবনযাপনে আমূল পরিবর্তন ঘটাতে আসেন। এই নারীই হলেন পিয়া জান্নাতুল।

রোজার ঈদ শেষে এখন নতুন উদ্যমে চলছে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি। এরই মধ্যে আসন্ন ঈদে মুক্তির জন্য বেশ কিছু সিনেমা তালিকায় রয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হলো তরুণ নির্মাতা রাশিদ পলাশের দুই সিনেমা। সেগুলো হলো ‘ময়ূরাক্ষী’ ও ‘রঙ বাজার’। দুটি সিনেমাই কোরবানির ঈদে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্মাতা। এই ‘রঙ বাজার’ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে। যার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পিয়া জান্নাতুল। এই ছবির কাহিনি বলতে গিয়েই ওপরের বক্তব্যের আলোকপাত।

দৌলতদিয়ায় শুটিং করতে গিয়ে ১০ দিন থাকতে হয়েছে পিয়াকে। এই সময়টা মিশ্র অনুভূতির । নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বললেন, জীবনে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতাই অর্জন হয়ে যায়। যেমন রঙ বাজার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা আমার জীবনের অন্যতম অভিজ্ঞতাগুলোর একটি। আমি নার্ভাস ছিলাম। কেননা এমন এলাকায় প্রথমবারের মতো শুটিং করছি রাত হলেই পুরো এলাকা জমজমাট হয়ে ওঠে। মনে হয় চারদিকে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সবাই সেজেগুজে রাস্তায়, পল্লীর বিভিন্ন স্থানে, ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। অন্তত এটা বুঝতে পেরেছি যে এই উৎসবের আড়ালে রয়েছে একেক জনের বেদনাময় গল্প। কেউ তো আর নিজের ইচ্ছায় এখানে আসে না, প্রত্যেকে একেকটি গল্পের মধ্য দিয়েই আসে। যার নেপথ্যে থাকে গভীর বিষাদ, মর্মান্তিক ঘটনা।

রাশিদ পলাশের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশ ভালো পিয়ার। বললেন, তিনি নিরীক্ষণধর্মী কাজ করেন। যেসব আমার কাছে মনে হয় বেশ মূল্যবান। তার নির্মাণশৈলীও মুগ্ধ করার মতো। কাজের অভিজ্ঞতা খুবুই ভালো। এই যে দৌলতদিয়ায় কাজ করলাম, এসব জায়গায় কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ। নানা ধরনের নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ রয়েছে, অনুমতির ব্যাপার রয়েছে এই সব অনুমতি নিয়ে; পুলিশের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আমরা কাজ করেছি। এসবই তো পলাশ ভাইয়ের ত্যাগের নমুনা।

এ সিনেমাটি মানুষের মনে আঁচড় কাটবে বলে মনে করেন পিয়া জান্নাতুল। বললেন, এই সিনেমার গল্পে গভীরতা রয়েছে, সেই গভীরতার সঙ্গে অভিনয় দারুণভাবে সমন্বিত হয়ে এগিয়েছে। ফলে দর্শকদের কাছে উপভোগ্য হবে, খুলে দেবে চিন্তার জায়গা।

জান্নাতুল পিয়া অভিনয়ের পাশাপাশি আইন পেশায় নিয়োজিত। আইন পেশাটাকে তিনি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেন। কাজ করছেন ব্যারিস্টার সুমনের আইনি ফার্মে। আইন পেশা নিয়ে পিয়ার ভাষ্য, আমি শোবিজে খুবই কম কাজ করি। গল্প, কাজের ধরন ও আমার সময় বের হলেই তবে কাজ করি। তাই দেখবেন আমি খুবই কম কাজ করি। আইন পেশাতেই আমি সময় বেশি দিচ্ছি। এটাও আমার অন্যতম পরিচয়। আইনজীবী হিসেবে কাজ করাটাকে উপভোগ করেন পিয়া। তবে এখানে কাজেরও কিছু নেতিবাচক দিকের মুখোমুখি হন তিনি। অনেকেই, বিশেষ করে কিছু কিছু মেয়ে আইনজীবী খোঁচা মেরে বলেন, ও তো মডেলিং করে, অভিনয় করে…মানে আমি যে আইনজীবী সেটাকে তারা প্রচ্ছন্ন করার চেষ্টা করেন। তবে আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION