সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক:
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে প্রথম লেগে পিএসজি হেরেছিল ১-০ গোলে। প্যারিসে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে আরও একটা গোল খেয়ে বসল পিএসজি। ফলে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হারতে হয় পিএসজিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতে ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ডর্টমুন্ড।
ম্যাচের ৭০ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা পিএসজি ঘুরে দাঁড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে। আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিয়ে গোলমুখে কিলিয়ান এমবাপে-ভিতিনহা-গনসালো রামোসরা নেন মোট ৩০টি শট। কিন্তু গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ঘটনাবহুল দ্বিতীয়ার্ধে তাদের চারটি শট আটকে যায় পোস্ট ও ক্রসবারে। অন্যদিকে, লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দেন ডর্টমুন্ডের বর্ষীয়ান জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলস। ৫০তম মিনিটে ইউলিয়ান ব্রান্ডটের কর্নারে অসাধারণ হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি। গত সপ্তাহে, সিগনাল ইদুনা পার্কে ডর্টমুন্ডের জয়ের নায়ক ছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার নিকলাস ফুলক্রুগ।
দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে ওয়ারেন জাইরে-এমেরির শট পোস্টে বাধা পায়। পিএসজির আক্ষেপ আরও বাড়ে তিন মিনিট পর হামেলস উল্টো গোল করে বসলে। ম্যাচের পরবর্তী সময়েও কেবল দুর্ভাগ্যই সঙ্গী হয় লুইস এনরিকের শিষ্যদের। ৬২তম মিনিটে নুনো মেন্দেসের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টে লাগে। ৮৭তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে এমবাপের প্রচেষ্টা ক্রসবারে প্রতিহত হয়। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনহার শটও ক্রসবারে আটকে যায়।
এর আগে, ২০১২-১৩ মৌসুমের সেই ফাইনালে ডর্টমুন্ড ২-১ গোলে হেরেছিল স্বদেশি ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। সেই ফাইনাল ছিল লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। এবারও ফাইনাল ওয়েম্বলিতেই, আগামী ১ জুন। এবারও ফাইনাল হতে পারে দুই জার্মান ক্লাবের। অন্য সেমিফাইনালে যে প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ-রিয়াল মাদ্রিদ!
ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের সুযোগ এখন ডর্টমুন্ডের সামনে। একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছিল ২৭ বছর আগে। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে মিউনিখে অনুষ্ঠিত ফাইনালে জুভেন্তাসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
ভয়েস/আআ