শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

পিএমখালীতে পুকুর থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীতে মোহাম্মদ সোহেল প্রকাশ চেয়ারম্যান (৩৭) নামের এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে ছনখোলা গ্রামের পূর্বপাড়া (মাঝেরপাড়া) জামে মসজিদের বড় পুকুর থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কক্সবাজার সময় সংবাদ’কে নিশ্চিত করেন স্থানীয় জনসাধারণ। তারা জানান, ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে পুকুর পাড় দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ঘাটৈ সামান্য দূরত্বে মানুষ সাদৃশ্য আকৃতিতে কিছু একটা দেখতে পায় এক মুসল্লি। বিষয়টি সে আরো কয়েকজনের সাথে শেয়ার করলে তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগ্রহী হয়ে ওঠে ন। তখনো মৃতের দেহ ভেসে ওঠেনি, একটি হাত ও মাথার আংশিক ছায়ার মতো দেখা যাচ্ছিল। তখনো ভোর বেলার অন্ধকার ছিল, সূর্য উদয় হয়নি। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকেন আরো কয়েকজন। এদের মধ্যে একজন (সন্দেহ বশত:) একটি বাঁশের সাহায্য তা যেন ঘাটের সিঁড়ির কাছে টেনে নিয়ে আসেন। এরপর মৃত দেহটি দেখতে পেয়ে সবাই যেন হতভম্ব হয়ে পড়েন। এসময় মৃতের পরিচয় সনাক্ত করেন তারা।

মৃত মোহাম্মদ সোহেল ছনখোলা পূর্বপাড়া এলাকার নুরুল আলম প্রকাশ নুরুর একমাত্র ছেলে। সে বিবাহিতা, তার ২টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিবন্ধী মো, সোহেল দিনমজুরের কাজ করতেন। এলাকার মানুষ তাকে মজা করে চেয়ারম্যান বলে ডাকতো। আর এলাকার মধ্যে এ নামেই পরিচিত ছিলো সে। গতকাল তার ঘরের পার্শ্ববর্তী কয়েক বাড়িতে কাজ করছে। কাজ শেষে পুকুরে গোসলে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে পরিবারের লোকজন সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। এই অবস্থায় পূর্বপাড়া মসজিদের বড় পুকুরে সকালে তার লাশ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

মো, সোহেলের পিতা নুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত পুকুর ঘাটে গিয়ে ছেলের লাশ সনাক্ত করি। আজীবন দিন মজুরের কাজ করে জীবন যাপন করছি। আমার একমাত্র ছেলে সোহেল সামান্য প্রতিবন্ধী টাইপের ছিল, সেও দিনমজুরি কাজ করত। গতকালও দুই এক ঘরে কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, কাজ শেষে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। ছেলের মৃত্যুতে এই মুহূর্তে কারো প্রতি কোন সন্দেহ নেই তার। কেননা তাদের কোন সহায় সম্পত্তি নেই। তাছাড়া কোন শত্রু নেই। ছেলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সবার কাছে তার জন্য দোয়া চাচ্ছি এবং ছেলের অকাল মৃত্যুর বিষয়টি মহান আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছি।

ভয়েস./জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION