বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এই পর্বে অংশ গ্রহণ করছেন ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের তাবলীগের সাথীরা। ইজতেমা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
ইজতেমায় মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘বাদ ফজর আম বয়ানের কথা থাকলেও পরে তা মজলিসে শূরার মাধ্যমে একটু সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন কোনো বয়ান হচ্ছে না। সকাল ১০টায় নজমের জামায়াতের সাথীদের উদ্দেশ্যে বয়ান হবে। বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ হোসাইন।’
যৌক্তিক-অযৌক্তিক কিছুই বুঝতে চান না আন্দোলনকারীরাযৌক্তিক-অযৌক্তিক কিছুই বুঝতে চান না আন্দোলনকারীরা
এই ধাপে অংশগ্রহণ করছেন যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুর, মুন্সিগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাংগাইল, পাবনা, নরসিংদী, সাভার, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, নওগাঁ, বান্দরবন জেলা।
এই ধাপে ঢাকার একাংশসহ ২২টি জেলা অংশগ্রহণ করবে মোট ৪০টি খিত্তায়। প্রথম ধাপের ইজতেমার দোয়া শেষ করেই তাবলীগের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে এবং আজ মাগরিবের আগেই তা সম্পন্ন করে। মাঠে ইতোমধ্যে ৭৬ দেশ থেকে প্রায় তিন হাজার ৫০ জন বিদেশি মেহমান অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘এবার ইজতেমায় পোশাকধারী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাত হাজার সদস্য থাকবে। ময়দান এলাকায় র্যাবের হেলিকপ্টার টহল ছাড়াও বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। সাদা পোশাকে প্রচুর পরিমাণ নিরাপত্তা রেখেছি। এছাড়া ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলার দিয়ে পুরো মাঠ দেখা হচ্ছে। ১৫টি সাব কন্ট্রোল কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে, সাব কন্ট্রোল কক্ষে যেকোনো রিপোর্ট করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘পুরো মাঠ ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন রয়েছে, ৩৫টি রুফটফ, স্থির ব্রিগেড ৫৩টি, ২০টি মোবাইল পার্টি সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থাকছে, ২০টি চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি করা হচ্ছে যেন কোনো দুষ্কৃতকারী ময়দানে প্রবেশ করতে না পারে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৩-৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর আটদিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থীদের ইজতেমা শুরু হবে, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
ভয়েস/আআ