বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: রয়টার্স।
আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: রয়টার্স।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে উপস্থিত হলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। শিয়া ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম দিন আশুরার এক দিন আগে শনিবার (৫ জুলাই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মসজিদে মুসল্লিদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন খামেনি। এমন দৃশ্য সম্প্রচার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গত ১৩ জুন ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর একটি রেকর্ডকৃত ভাষণে খামেনির সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল। ওই যুদ্ধে ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
ইসরায়েল প্রথমে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিস্ময়কর হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা বিমান হামলা চালায় ইরান।
১২ দিনের এই যুদ্ধে খামেনিকে তিনবার টেলিভিশনে ভিডিও বার্তা দিতে দেখা গেলেও, তখন গুঞ্জন উঠেছিল যে তিনি একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে আছেন।
শনিবার খামেনির জনসমক্ষে উপস্থিতি নিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক কাভারেজ দেখা যায়। সমর্থকরা টেলিভিশনে তাকে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন- এমন ভিডিও প্রচার করেছে রাষ্ট্রীয় টিভি।
ফুটেজে দেখা যায়, প্রবীণ ধর্মগুরু মাহমুদ কারিমির দিকে ফিরে খামেনি বলেন, ‘গাও, ও ইরান’—যা একটি দেশাত্মবোধক সংগীত। সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, ভিডিওটি তেহরানের ‘ইমাম খোমেইনি’ মসজিদে ধারণ করা হয়েছে। মসজিদটি ইরানি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতার নামে নামকরণ করা হয়েছে।
খামেনির এই জনসমক্ষে প্রত্যাবর্তনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভিডিও পাঠাতে জনগণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইরানি টেলিভিশন।
তার এই উপস্থিতি এমন এক সময়ে এল, যখন প্রধানত শিয়া মুসলিম দেশ ইরান মহররম মাসের শোক পালনে রয়েছে। সেই শোকে সাধারণত সর্বোচ্চ নেতাও অংশ নেন।
আশুরা পালিত হয় মহররম মাসের ১০ তারিখ। এই বছর সেটি পড়েছে ৬ জুলাই। আশুরায় শিয়া মুসলমানরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইনের শাহাদাত বরণকে স্মরণ করে।
২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে যুদ্ধে যোগ দেয়। এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের ১২৫টি সামরিক বিমান অংশ নেয় এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোর্দো, নাতানজ ও ইসফাহানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
২৬ জুন রেকর্ডকৃত এক ভাষণে খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান সত্ত্বেও ইরান ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ৯০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ভয়েস/আআ