রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক:
ওয়ানডে অভিষেক দারুণভাবে রাঙিয়ে দিলেন হাসান নওয়াজ। মোহাম্মদ রিজওয়ান তাকে উজ্জীবিত করেছিলেন। পাকিস্তান অধিনায়ককে হতাশ করেননি এই ব্যাটার। ৫৪ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ের নায়ক তিনি। তার সঙ্গে ১০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়তে দারুণ সঙ্গ দেন সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় পর ওয়ানডে খেলতে নামা হুসেইন তালাত।
রিজওয়ান যখন ৫৩ রানে আউট হন, তখন ১২.৪ ওভারে পাকিস্তানের লাগতো ১০১ রান। দুই নবীন ব্যাটার ক্রিজে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু নওয়াজ ও তালাতের ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা।
যদিও শুরুতে ধুঁকছিলেন নওয়াজ। প্রথম ১৫ বলে ৫ রান তোলেন তিনি। রোস্টন চেইসকে ছক্কা মেরে নিজেকে ফিরে পান। শেষ দিকে নওয়াজ গুডাকেশ মোটির হাত ফসকে জীবন পান, তখন ৩ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৭ রান। জেডিয়া ব্লেডসকে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মারেন তালাত। পরের ওভারে শামার জোসেফকে ছয় ও জয়সূচক চার হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন নওয়াজ।
অধিনায়কের কথা ফেলেননি ২২ বছর বয়সী নওয়াজ। টি-টোয়েন্টির আগ্রাসী ব্যাটিং ধরে রেখে ম্যাচ জিতিয়ে ১১তম পাকিস্তানি হিসেবে অভিষেকে হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।
ম্যাচ শেষে নওয়াজ বললেন রিজওয়ানের কথা, ‘‘এটা ছিল আমার অভিষেক ম্যাচ। আমি এই ম্যাচকে স্মরণীয় করার কথা ভাবছিলাম। আমি ও রিজওয়ান যখন ব্যাটিংয়ে ছিলাম, তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘এটা তোমার অভিষেক, তোমাকে ম্যাচ শেষ করে আসতে হবে।’’
তিনি আরও বললেন, ‘যখন তিনি আউট হলেন, একই কথা বললেন- ‘তোমাকে শেষ করে আসতে হবে।’ এটাই ছিল পরিকল্পনা। পিএসএল থেকে আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসেছিলাম, অনেক ম্যাচ শেষ করে এসেছি। সেখানেও একই ব্যাপার ছিল যে আমি শেষ পর্যন্ত বড় হিট খেলতে পারি।’
বাবর আজম ও রিজওয়ানের কাছ থেকে শেখার কথা বললেন নওয়াজ। এই দুজনের ৫৫ রানের জুটিতে ম্যাচ শুরুতে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল পাকিস্তান। এই জুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বললেন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়, ‘আপনি বাবর ও রিজওয়ান ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে, যেভাবে তারা খেলেন, তারা ম্যাচ জয়ী। তাদের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পাওয়া যায়। এই ম্যাচ জয়ে তারা বড় ভূমিকা রেখেছেন। শুরুতে যখন এক-দুটি উইকেট হারালাম, তখন তারা ভালোভাবে সামাল দিয়েছে। পরে আমরা সেটার সুবিধা পেয়েছিলাম।’
ভয়েস/আআ