রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৪ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
মিয়ানমারে নির্যাতন ও গণহত্যার বিষয়ে আর্জেন্টিনার একটি আদালতে সাক্ষ্য দিতে গেলেন কক্সবাজারের সাত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। তারা উখিয়ার ১৩ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা।
শনিবার রাতে তারা ঢাকা ছেড়েছেন। রবিবার (২৮ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ছয় নারীসহ সাত রোহিঙ্গা শনিবার রাতে আর্জেন্টিনার উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তারা দেশে ফিরে আসবেন।’
এই সাত জন হলেন উখিয়ার বালুখালী ১৩ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা আহমদ হোসেন, বিবিজান, নূর বাহার, নুর বেগম, নুর জাহান, রহিমা খাতুন ও সেরু।
১৩ নম্বর ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন, দলবেঁধে ধর্ষণ, মিয়ানমারের সেনাসদস্যদের হাতে গণহত্যা ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী তারা। ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর ইউনিভার্সেল জুরিসডিকশন (সার্বজনীন এখতিয়ার) নীতির অধীনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত শুরু করেছে আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগ।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেসময় ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের সাত রোহিঙ্গা, যাদের চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বুয়েন্স আয়ার্সের আদালতে সাক্ষী হিসেবে বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এই মামলা ছাড়াও মিয়ানমারের সেনাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও বিচারকাজ চলছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক রোহিঙ্গাদের সংগঠন বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে (ব্রুক) ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আর্জেন্টিনার আদালতে মামলাটি করেছিল।
ভয়েস/আআ