সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, আমরা মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি কিছু দিন আগে।

এর আগে দীর্ঘদিনেও বিচার না পেয়ে হতাশ সুদীপ্তর বাবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন। শুরু থেকেই পরিবার ও ছাত্রলীগের একাংশ খুনের ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করে আসছে।

পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তিনি জামিনে বের হন।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা দেশ রূপান্তরকে বলেন, সুদীপ্ত হত্যা মামলার চার্জশিটে ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন পলাতক। আর ১৮ জন বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তিনি বলেন, অভিযোগপত্রে দিদারুল আলম মাসুমকে সুদীপ্ত হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বদানকারী ছিলেন আইনাল কাদের নিপু। ফেইসবুকে লেখালেখির কারণে সুদীপ্তকে হত্যা করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসার সামনে নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদি বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এক বছর পর তারই আবেদনে আদালত মামলার তদন্ত পিবিআইকে দেয়।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের জন্য ছাত্রলীগের একাংশ লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুমকে দায়ী করলেও গ্রেপ্তারদের কারো জবানবন্দীতে তার নাম আসেনি। এক ‘বড় ভাই’ হুকুমদাতা ছিলেন বলে তাদের ভাষ্য। এরপর ২০১৯ সালের ১২ জুলাই গ্রেপ্তার মিজান হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে মাসুমের নাম বলার পর গ্রেপ্তার হন মাসুম। এরপর তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে বের হন। তিনি ছাড়াও এ মামলায় আরও ১৭ গ্রেপ্তার হয়েছেন, যারা সবাই মাসুমের অনুসারী বলে পরিচয় দিয়েছেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION