শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল হারিয়েছে। একই সাথে ‘আইওএম’র সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আগুনে ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
‘আইওএম’ দাবি করছে, উখিয়ার বালুখালীতে এক সাথে তিনটি ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা তাদের আশ্রয়স্থল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে। আর ‘আইওএম’ পরিচালিত যে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে গত বছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষকে সেবা প্রদান করেছে করেছিল। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতির করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে চিকিৎসাসেবায় নতুন করে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। শিবিরগুলোর মধ্যে আগুনের লেলিহান গতি ক্যাম্পের ভেতরের প্রধান সড়ক, পাহাড়ের ঢাল, খাল এবং ধানের ক্ষেতে পৌঁছানোর পরেই কেবল কমে যায়। কিন্তু, ততক্ষণে হাজার হাজার মানুষের আশ্রয়স্থল, প্রয়োজনীয় সেবাকেন্দ্র এবং ব্যক্তিগত সম্পদ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের কারণ এখনো অজানা। মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলো এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১১ জন মানুষ অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারিয়েছেন, ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আনুমানিক ৪০০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আইওএম-এর মহাপরিচালক এন্টোনিও ভিটোরিনো এক প্রেসবার্তায় জানিয়েছেন,“এই বিপর্যয় একটি ভয়াবহ ধাক্কা যা কক্সবাজারের শরণার্থীদের মানবিক প্রয়োজন আরও বাড়িয়েছে। আমাদের এই পুনর্বাসনের জন্য আমার শূণ্য থেকে শুরু করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ সরকার, আমাদের দাতাগোষ্ঠী, সহযোগী সংস্থা এবং মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপদ আশ্রয় ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও জানান, ‘আইওএম-এর বিভিন্ন টিম এবং সহযোগী সংস্থাগুলো অগ্নিকান্ড থেকে বেঁচে আসা মানুষদের তাৎক্ষণিক সেবা দিতে রাতের বেলা কাজ করেছিলেন। মঙ্গলবার এই পরিবারগুলো আবার তাদের নিজ নিজ আশ্রয়স্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। আইওএম সকল ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরি সহায়তা বিতরণ করছে। জরুরী সহায়তার মধ্যে আশ্রয় সরঞ্জামাদি এবং খাবার পানির পাশাপাশি জরুরি জিনিসপত্র যেমন মাস্ক, সাবান, কম্বল, সোলার লাইট, মশারি এবং জেরিক্যান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই জরুরি প্রয়োজনের সহায়তা কার্যক্রমে আরও ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
ভয়েস/আআ