রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরে এক নারীকে তুলে নিয়ে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ অভিযোগে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত সোমবার দুপুরে আদালত এলাকা থেকে ওই নারীকে একদল যুবক তুলে নিয়ে একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করছেন ওই নারী। এ ঘটনায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৯ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস মামলা সত্যতা নিশ্চিত করেছেণ।
ওসি জানান. ভূক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ।ভূক্তভোগী নারী কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা।
এজাহারে অভিযুক্ত ৪ জন হলেন, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায় বসবাসকারি ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী এলাকার রমজান আলীর ছেলে ফিরোজ আহমদ (৪৭), একই এলাকার লোদা মিয়ার ছেলে রাসেল উদ্দিন (৩৮) ও নুরুল ইসলাম (৪৮) এবং একই উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ফকিরা বাজার এলাকার মৃত আবদুল গণির ছেলে মো. শরীফ (৪৮)। ভূক্তভোগী নারীর অভিযোগ, অভিযুক্ত ফিরোজ আহমদ ও নুরুল ইসলাম তাঁর পূর্ব পরিচিত ছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল।
সোমবার বেলা ২টার দিকে শহরের আদালত এলাকার মসজিদ মার্কেটের আইনজীবী একরামুল হুদার চেম্বার থেকে তিনি নিচে নামেন। এসময় অভিযুক্তরা তাকে(নারী) হাত-মুখ চেপে ধরে একটি নোহা গাড়ীতে তুলে নেয়। ওই নারীর অভিযোগ, তাকে বহনকারি গাড়ীটি কক্সবাজার বনবিভাগের সামনে পশ্চিমের কেসি দে সড়কস্থ জনৈক ফজল কাদেরের বাসায় নিয়ে যায়। পরে বাসাটির কক্ষে নিয়ে ছোরা দিয়ে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এদের মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি রাসেল উদ্দিন নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে ধর্ষণ করে। ”
ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা ভূক্তভোগী নারীকে ঘটনাস্থলের বাসাটি থেকে গেইটের বাইরে বের করে দেয়। এসময় ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। “এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভূক্তভোগী নারী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ৯ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
ওসি মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযুক্ত ফিরোজ আহমদ এক সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মামলার ওই নারীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।
ভয়েস/আআ