মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এবার আর আওয়ামী লীগ পার পাবেন না। পার পাবার কোনও পথ নাই। আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হবে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের ওপর হামলা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেক রিকাবদারকে কোমড়ে দড়ি ও হ্যান্ডকাফ বাঁধার প্রতিবাদে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যত ঝারিঝুরি করুক না কেন, আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে পার্লামেন্ট ভাঙতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। বিএনপি যে ২৭ দফা দিয়েছে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আওয়ামী লীগ বিদেশে যে টাকা পাচার করেছে, সে টাকা ফেরত আনতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে। আর সেই জন্যেই আগামী নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কিছুদিন পরে নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিএনপি এ পর্যন্ত যতবার ক্ষমতায় গিয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে গিয়েছে। ভালো নির্বাচনের জন্য আমরা কেয়ারটেকার সরকারের কথা বলেছি। নির্বাচনের মাধ্যমেই এই সরকারকে পতন ঘটাতে চাই। কিন্তু সাজানো নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসতে চান, এই স্বপ্ন বাদ দেন। আগামী দিনের সরকার হবে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের সরকার। সেটা বিএনপি সরকার। নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় সরকার।’
দুদু বলেন, ‘স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ছিলেন খাইরুল কবির খোকন। বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এরকম একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করা মানে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করা। মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহকে কোমড়ে দড়ি বেঁধে ও হাতে হ্যান্ডকেপ পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এরা সালেহকে কোমড়ে দড়ি বাঁধে নাই, এরা দেশের গণতন্ত্রের কোমড়ে বেঁধেছে। দেশের স্বাধীনতার মাজায় দড়ি বেঁধেছে। এদের বিচার হওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত অনুসারীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও গিয়াস উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
ভয়েস/জেইউ।