শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করেছে সরকার। এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। প্রশ্ন তুলেছেন তাজউদ্দিন আহমদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে ফেসবুকে এ বিষয়ে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দী হয়ে বিজয়ের পর পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন দাবি করে সারজিস আলম লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।”
“তাজউদ্দিন আহমদ মাঠে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কীভাবে?”
মন্ত্রণালয়ের কাজের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, “মন্ত্রণালয়ের কাজ ছিল- মুক্তিযোদ্ধার নামে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য আওয়ামী আমলে যারা নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা। কিন্তু তা না করে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মাঠে থেকে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সরাসরি অবদান রেখেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাতিল করার মত অপ্রয়োজনীয় কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে গত ৩ জুন রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) বঙ্গবন্ধুসহ ৪ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করে অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানের মতো নেতাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে প্রকাশ করা অধ্যাদেশে শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নয়, আরো চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভয়েস/আআ