মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলাগুলো নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা বলছেন, তা সত্য থেকে অনেক দূরে এবং প্রকৃতপক্ষে সেগুলো অতিরঞ্জন—এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
গতকাল রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে খামেনি এই অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
খামেনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা বলছেন, তা অস্বাভাবিকভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, তার এই বাড়াবাড়ির পেছনে নিশ্চয়ই কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল।’
ইরান শান্তিপূর্ণ থাকলে তুলে নেওয়া হতে পারে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্পইরান শান্তিপূর্ণ থাকলে তুলে নেওয়া হতে পারে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প
তিনি আরও বলেন, ‘যে কেউ ওই বক্তব্য শুনবে, সে সহজেই বুঝে ফেলবে যে এর পেছনে অন্য একটি বাস্তবতা লুকানো আছে। আসলে তারা কিছুই করে উঠতে পারেনি, আর সেই ব্যর্থতাকেই ঢাকতে গিয়ে এত জোরালো শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।’
এর আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ‘আমরা হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছি এবং সেখানেই থেমে গেছি। এটা ছিল দুর্দান্ত একটি অভিযান। তারা এগোতে পারত না—১২ দিন ধরে এক ভয়ঙ্কর ও তীব্র যুদ্ধ চলেছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল প্রথম ইরানের ওপর সামরিক অভিযান শুরু করে। পরবর্তী ১২ দিন ধরে ইসরায়েল তেহরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক অঞ্চলগুলোতে একের পর এক হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সমর্থনে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়—নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানে—বোমা হামলা চালায়।
ইরানে ফের হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল ইরানে ফের হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল
এই হামলার পরপরই ইরান প্রতিক্রিয়া জানায়। ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পসের অ্যারোস্পেস ফোর্স ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামের অভিযানের আওতায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২২টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এতে ইসরায়েলি শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত ২৪ জুন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। টানা ১২ দিনের সংঘাতের পর এই মার্কিন-সমর্থিত সমঝোতার আওতায় দু’পক্ষের হামলা বন্ধ হয়।
ভয়েস/আআ