শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

খুশকি দুর করার প্রাকৃতিক উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক:

মাথায় খুশকি দেখা দেয়নি এমন ব্যক্তি খুব কমই আছেন। খুশকির অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে সাধারণ কিছু কারণ হলো  ডার্মাটাইটিস, মাথার ত্বকে ব্যবহৃত পণ্যের প্রতি সংবেদনশীলতা, ত্বকের ময়লা ও তৈলাক্ত অবস্থা, মাথার ত্বকে বসবাসরত কিছু ছত্রাক ইত্যাদি। মাথা থেকে যে সাদা-হলদে খুশকি ঝরে পড়তে দেখা যায়, তা আমাদের মাথার ত্বকের মৃত কোষ ছাড়া আর কিছুই না।

মাথায় খুশকি দেখা দেয়নি এমন ব্যক্তি খুব কমই আছেন। খুশকির অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে সাধারণ কিছু কারণ হলো সেবোরেইক ডার্মাটাইটিস, মাথার ত্বকে ব্যবহৃত পণ্যের প্রতি সংবেদনশীলতা, ত্বকের ময়লা ও তৈলাক্ত অবস্থা, মাথার ত্বকে বসবাসরত কিছু ছত্রাক ইত্যাদি। মাথা থেকে যে সাদা-হলদে খুশকি ঝরে পড়তে দেখা যায়, তা আমাদের মাথার ত্বকের মৃত কোষ ছাড়া আর কিছুই না। পৃথিবীর যেকোনো অঞ্চলের মানুষের খুশকি হতে পারে। প্রায় ৫০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খুশকি দেখা দিতে পারে এবং তুলনামূলকভাবে নারীদের চেয়ে পুরুষরা খুশকিতে আক্রান্ত হন বেশি। খুশকির জন্য অনেক কৃত্রিম পণ্য তৈরি করা হলেও কিছু প্রাকৃতিক উপায়েও খুশকি দূর করা যায়।

আসুন, জেনে নিই খুশকি দূর করার কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে:

১. টি-ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত উপাদান, যা খুশকি দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। টি-ট্রি অয়েল একটি নির্দিষ্ট স্ট্রেনের ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম, যা সেবোরেইক ডার্মাটাইটিস এবং খুশকির তীব্রতা দূর করতে পারে।

২. নারকেল তেল ব্যবহার করুন: নারকেল তেল প্রায়ই খুশকির জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নারকেল তেল ত্বকের হাইড্রেশনে ভূমিকা রাখে এবং ত্বকের শুষ্কতা রোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল তেল ত্বকের হাইড্রেশন ইমপ্রুভ করতে খনিজ তেলের মতোই কার্যকর। এমনকি নারকেল তেল একজিমার (eczema) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে, ত্বকের একধরনের রোগ যা খুশকিতে প্রভাব বিস্তার করে।

৩. ত্বকে সরাসরি অ্যালোভেরা প্রয়োগ করুন: অ্যালোভেরা ত্বকে লাগানোর ফলে পোড়া, সোরিয়াসিসের মতো ক্ষত সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য খুশকি দূর করতে পারে। এটি বেশ কয়েকটি প্রজাতির ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকর এবং মাথার ত্বকে যেসব ছত্রাকের সংক্রমণের ফলে চুল পড়ে যায়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

৪. অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন: এটি খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান। অ্যাপল সিডার ভিনেগারের অম্লতা মাথার ত্বকের মৃত কোষগুলো অপসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে, যার ফলে ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ হয় এবং খুশকিও কমে আসে। এটি ব্যবহার করে দেখতে চাইলে শ্যাম্পুতে কয়েক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার যুক্ত করুন বা এটি অন্যান্য প্রয়োজনীয় তেলগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে সরাসরি চুলে স্প্রে করুন।

৫. অ্যাসপিরিন ব্যবহার করুন: অ্যাসপিরিনে বিদ্যমান স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের আলগা কোষগুলো মুক্ত করতে সহায়তা করে। অনেক অ্যান্টি-ড্যানড্রফ শ্যাম্পুতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড থাকে। সিলিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত শ্যাম্পু সেবোরেইক ডার্মাটাইটিস এবং খুশকি দূর করার জন্য যথেষ্ট কার্যকর। খুশকি প্রতিকারের জন্য আপনার চুল ধুয়ে নেয়ার আগে দুটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট পিষে গুঁড়া করে শ্যাম্পুতে যুক্ত করে ব্যবহার করুন।

৬. ওমেগা-৩ খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করুন: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের তেল উৎপাদন এবং হাইড্রেশন নিয়ন্ত্রণ করে, ক্ষত নিরাময়ে ভূমিকা রাখে এবং অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবে চুল ও ত্বক শুষ্ক এবং খুশকিসহ লক্ষণগুলো বেড়ে যেতে পারে। তাই খুশকি দূর করতে ওমেগা-৩-সমৃদ্ধ খাবার খান।

৭. আরো বেশি প্রোবায়োটিক খান: প্রোবায়োটিক একধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। প্রোবায়োটিক খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। প্রোবায়োটিক অ্যাকজিমা এবং ডার্মাটাইটিসের মতো স্কিন ডিজিসের লক্ষণগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করে। তাই বেশি পরিমাণে প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার খান। সূত্র: হেলথ লাইন/ সারাক্ষণ।

ভয়েস/ জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION