বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

পবিত্র কুরআন মানবজাতির হিদায়েতের জন্য নাযিল করেছে

ইউসুফ আরমান,ফাইল ছবি

ইউসুফ আরমান:

পৃথিবীতে এমন কোন গ্রন্থ নেই যা পবিত্র কুরআনের মোকাবেলা করতে পারে। পবিত্র কুরআন এমন একটি গ্রন্থ যার শুরুতে আল্লাহ স্বয়ং বলেন, এটা এমন এক গ্রন্থ যার মধ্যে সন্দেহের অবকাশ নেই। সুতরাং পবিত্র কুরআনের অলৌকিকত্বতা সার্বজনীন এবং সর্বজন স্বীকৃত।

আল্লাহ তায়ালা সর্বোত্তম কৌশলী। তার প্রত্যেক টি কাজ সুদৃঢ় পরিকল্পিত। পবিত্র কুরআন আল্লাহ তায়ালা কি উদ্দেশ্যে নাযিল করেছেন তা আসলে বুঝা কঠিন। তবে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু নিদর্শনের মাধ্যমে ধারণা করতে পারি মাত্র।

পবিত্র কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্যঃ– পবিত্র কুরআন নাযিলের মূল উদ্দেশ্য খুঁজতে গিয়ে আমরা কতিপয় কারণ খুঁজে পাই। এগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সমস্যার সমাধানঃ- পবিত্র কুরআন কে আল্লাহ তায়াল মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে নাযিল করেছেন।

হেদায়েতের আলোকবর্তিকাঃ- পবিত্র কুরআন মানব জাতির জন্য হিদায়েতের আলোকবর্তিকা স্বরূপ। পবিত্র কুরআনের আলোকে পথহারা, দিশহারা মানুষ আলোর সন্ধান খুঁজে পায়। তাই মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন কে মানবজাতির হিদায়েতের জন্য নাযিল করেছেন।

ভ্রান্ত ধারণার অপনোদনঃ– পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা জবাব দিয়েছেন। অত্যন্ত সুন্দর ভাবে। তাৎকালীন আরব সমাজের লোকেরা বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদা পোষণ করতো।

আত্মার পরিশুদ্ধিতাঃ- পবিত্র কুরআন নাযিলের আরেক টি উদ্দেশ্য হলো মানবতার আত্মার পরিশুদ্ধিতা সাধন করা। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও তদনুযায়ী আমলের ফলে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়।

সত্যতান সাক্ষ্যরূপেঃ- মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন নাযিলের মাধ্যমে সত্য কে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আর মিথ্যা কে করেছেন পরাভূত।

ইসলামী সমাজেন রূপরেখা প্রদানঃ- কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইসলামী সমাজের রূপরেখা প্রদান করেছেন। কুরআন অবতীর্ণের উদ্দেশ্য আল্লাহ তায়ালার বিধান অনুযায়ী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

সত্যায়নকারীরূপেঃ- পবিত্র কুরআন সর্বশেষ অবতীর্ণ আসমানী কিতাব। এটা পূর্ববর্তী সকল আসমানী কিতাবের সত্যতা প্রদান করেন।

শিরকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণঃ– কুরআন সকল প্রকার অস্বচ্ছতা, পথভ্রষ্টতা দূরীভূত করে শিরকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে।

ন্যায় প্রতিষ্ঠা করাঃ- পবিত্র কুরআন অন্যায় অবিচার দূরীভূত করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে।

প্রতিপালকের সাথে সম্পর্ক স্থাপনঃ- পবিত কুরআন অবতীর্ণের অন্যতম আরেকটি উদ্দেশ্য হলো স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সেতুবন্ধন স্থাপন করা।

সতর্কতা প্রদানঃ- পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বিরুদ্ধবাদীদের সতর্ক করে অসংখ্য আয়াত অবতীর্ণ করেছেন।

পবিত্র কুরআন অবতীর্ণের পিছনে অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে তবে মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা নিশ্চিত করা। কুরআনের যাবতীয় বিধান যদি আমরা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ ঘটাতে পারি তাহলে আমাদের দুনিয়ার জীবন হবে শান্তিময় আর আখেরাতে পাব চিরকালীন মুক্তি।

লেখক: ইউসুফ আরমান, সাহিত্যিক দক্ষিণ সাহিত্যিকাপল্লী, কক্সবাজার।
yousufarmancox@gmail.com

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION