সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চট্টগ্রামের সবুজ উদ্যানকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

আধুনিক হচ্ছে চট্টগ্রামের জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান। চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় রয়েছে উদ্যানটি। এটির উন্নয়নে ‘আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অনুমোদন পেলে চলতি বছরের ডিসেম্বর হতে ২০২৪ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশীদ। পিইসি সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পিইসি সভায় গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় জাতিসংঘ পার্কটি অবস্থিত। চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ আবসিক এলাকায় মোট ৬৯ দশমিক ৩৫৭ একর জমি এল এ কেইস নং ৩৫/১৯৫০-৫১ মূলে অধিগ্রহণ করে এক বিঘা আকারের ১৩৬টি আবসিক প্লট জনসাধারণের নিকট বরাদ্দ করা হয়। এই আবাসিক এলাকা নির্মাণের সময় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের একমাত্র খেলা জায়গা, হাঁটা-চলার স্থান ও সৌন্দর্য্যের প্রতীক হিসেবে ২ দশমিক ২৭ একরের পার্কটি মাস্টার প্ল্যানে চিহিৃত করা হয় এবং পরবর্তীতে পার্কটি জাতিসংঘ পার্ক হিসাবে পরিচিত লাভ করে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই পার্কে কোনো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় পার্কটিতে ময়লা আবর্জনা জমে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি বর্ষাকালে এই পার্কটি ৩/৪ ফুট পানির নিচে ডুবে যায়। জাতিসংঘ পার্কটিকে ব্যবহারের উপযোগী ও আধুনিক সবুজ উদ্যান স্থাপনের জন্য সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ও বর্তমান মন্ত্রী কমিটির সভাপতিকে সুপারিশ করেন। সেজন্য স্থাপত্য অধিদফতর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান স্থাপনের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয় এবং গণপূর্ত অধিদফতর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়।

সভায় আইএমইডির পরিচালক বলেন, প্রকল্পটি অপেক্ষাকৃত ছোট প্রকল্প এবং এর কার্যক্রম ও খুব বেশি নয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ২ বছর ৭ মাসের পরিবর্তে এক বছর ৬ মাস করার বিষয়ে মতপ্রকাশ করেন তিনি।

কার্যক্রম বিভাগের উপপ্রধান বলেন, প্রকল্পের আওতায় পূর্ত কাজের ছোট ছোট অনেকগুলো প্যাকেজের সংস্থান রাখা হয়েছে, এক্ষেত্রে পূর্ত কাজের সমজাতীয় ছোট ছোট প্যাকেজগুলো একসঙ্গে করে প্যাকেজ সংখ্যা কমানো প্রয়োজন।

অর্থবিভাগের উপসচিব বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত জনবলের বিষয়ে অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির সুপারিশ নেয়া প্রয়োজন। ভৌত অবকাঠমো বিভাগের উপপ্রধান বলেন, সিটিকর্পোরেশন হতে এই উদ্যানে জিমনেসিয়াম ও সুইমিংপুল নির্মাণে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এগুলো ভেঙে ফেলে পুননির্মাণ করতে পুনরায় অর্থব্যয় করতে হবে। এক্ষেত্রে এগুলো সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী রাখা যায় কি না তিনি তা জানতে চান।

এ প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, জিমনেসিয়াম ও সুইমিংপুল পরিকল্পিত ও মানসম্মতভাবে নির্মাণ করা হয়নি তাই এই প্রকল্পে এগুলো ভেঙে পুননির্মাণের সংস্থান রাখা হয়েছে। জিমনেসিয়াম ও সুইমিংপুলের বর্তমানের অবস্থা পর্যালোচনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং গণপূর্ত অধিদফতর চট্টগ্রামের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এগুলো ভেঙে পুননির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

ওই সভায় ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্মপ্রধান বলেন, পাঁচলাইশ এলাকাটি উন্নত আবাসিক এলাকা। এ এলাকায় অবস্থিত উদ্যানের ভূমি উন্নয়নের জন্য ৫০ লাখ টাকার ব্যয় প্রস্তাবের কারণ সম্পর্কে তিনি জানতে চান। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, মাঠের চারপাশের রাস্তার চেয়ে মাঠটি প্রায় ৫ ফুট নিচু এবং বৃষ্টি হলেই উদ্যানে পানি জমে যায় তাই ৫ ফুট উচ্চতা ধরে ভূমি উন্নয়ন ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাঠে বর্তমানে বাউন্ডারি ওয়াল এবং ওয়াকওয়েও রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকল্পে প্রস্তাবিত বাউডারি ওয়াল এবং ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ কাজটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে করা হবে কি না তিনি তা জানতে চান।

এ প্রসঙ্গে গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, মাঠের বর্তমান বাউন্ডারি ওয়াল এবং ওয়ার্কওয়ে পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়নি এবং এটি নষ্ট হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ বলেন, সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২ বছর ৭ মাসের পরিবর্তে ২ বছর ধরার বিষয়ে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ত কাজের সমজাতীয় ছোট ছোট প্যাকেজগুলো একত্রে করে প্যাকেজ সংখ্যা কমাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রকল্প প্রস্তাব হতে মোটরসাইকেল ক্রয়ের প্রস্তাব, ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন ব্যয়ের সংস্থান এবং পুরনো স্থাপনা অপসারণ ব্যয়ের সংস্থান বাদ দেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION