রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
নাইক্ষ‍্যংছড়িতে পুকুর ডুবে এক শিশুর মৃত্যু মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল জাতীয় পার্টি কার চাপে নির্বাচনে এসেছে তা পরিস্কার করতে হবে:ওবায়দুল কাদের বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি চিনের দুই সদস্য নিহত, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধ‍ার কোরবানী ঈদে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী  অর্থনীতি: এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স উখিয়া দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলি সহ পাঁচ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক  ঈদগাঁওতে ৫ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে বহুল প্রতীক্ষিত ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউপির প্রথম নির্বাচন আজ সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের যুগপূর্তি উৎসব ২৯ এপ্রিল

চীনে ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ কোটিতে পৌঁছেছে বলে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। শতকরার হিসেবে দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশই এখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটি।

বৃহস্পতিবার চীনের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থা পিকিং ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১১ জানুয়ারি, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে এই সংখ্যক মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, আক্রান্ত রোগীর হিসেবে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে শীর্ষে আছে গানসু। দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই প্রদেশটির মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত। গানসুর পর দ্বিতীয় স্থানে ইউনান (৮৪ শতাংশ) ও তৃতীয় স্থানে আছে কুইনঘাই (৮০ শতাংশ) প্রদেশ।

দেশটির কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিসিডিসি) সাবেক প্রধান নির্বাহী এবং চীনের শীর্ষ মহামারিবিদ বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে ঝেং গুয়াং বলেন, ‘করোনা এখন যে গতিতে ছড়াচ্ছে, আমার ধারণা- চলতি জানুয়ারির শেষ দিকে সংক্রমণের এই ঢেউ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছাবে, তারপর ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমে আসা শুরু করবে।’

‘আমার এই অনুমানের ভিত্তি হলো- ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই নতুন চান্দ্রবছর শুরু হবে। পরিবারের সঙ্গে চান্দ্রবছরের উৎসব উদযাপণে দূর দূরান্তে থাকা লোকজন তাদের গ্রাম কিংবা শহরের বাড়িতে আসা শুরু করবে; ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়বে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও।’

চীনে নতুন চান্দ্রবছরের ছুটি শুরু হবে ২১ জানুয়ারি থেকে। ১৪১ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত এই দেশটির প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব নতুন চান্দ্রবছরের প্রথম সপ্তাহ। পরিবারের সঙ্গে এ উৎসব উদযাপন করতে কোটি কোটি মানুষ এ সময় কর্মস্থল থেকে নিজ গ্রাম বা শহরে আসেন। সাময়িক এই স্থানান্তরটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইগ্রেশন নামে পরিচিত।

ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শহর থেকে কয়েক কোটি মানুষ তাদের বাড়ি ফিরে গেছেন। সামনের দিনগুলোতে আরও কয়েক কোটি যাবেন। উৎসব উদযাপন শেষ করে তারা ফিরেও আসবেন নিজ কর্মস্থলে।

করোনার বিস্তার রোধে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, সামাজিক দূরত্ববিধি, সীমান্ত বন্ধ রাখার মতো কঠোর সব বিধি জারি রেখেচিল চীনের ক্ষমতসীন কমিউনিস্ট সরকার। চীনা সরকারের এই অবস্থান বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিল ‘জিরো কোভিড’ নীতি নামে।

কিন্তু মাসের পর মাস ধরে এই জিরো কোভিড নীতির মধ্যে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ চীনের জনগণ গত নভেম্বরের শেষ দিকে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। জনগণের দাবি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যাবতীয় করোনা বিধি শিথিল করে সরকার। তার পর থেকেই করোনা সংক্রমণের উল্লম্ফণ শুরু হয়েছে দেশটিতে।

বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আর প্রকাশ করছে না চীনের সরকার। তবে সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির সব বড় শহরের হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো উপচে পড়ছে করোনা রোগীদের ভিড়ে। অনেক শহরে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে হাসপাতালের কম্পাউন্ড ও গ্যারেজেও চিকিৎসা নিচ্ছেন গুরুতর অসুস্থ রোগীরা।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION