শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
অপরাধ দেখে জেনেশুনে চুপ থাকাও একটি অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থ পাচারে (মানি লন্ডারিং) যুক্ত লোকদের মানসিক রোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের বিষয়ে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত জারি করা রুলে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার আবেদন গ্রহণ করার বিষয়ে শুনানির সময় সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন। পরে আদালত এখনই পক্ষভুক্ত না করে আবেদনটি নথিভুক্ত করে রাখেন।
এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘অপরাধ দেখে জেনেশুনে চুপ থাকাও অপরাধ। দুর্নীতি, অর্থ পাচারের মতো বিষয়ে চুপ করে থাকাটা অন্যায়। জেনেশুনে আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। দেশ ও জাতির স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। তবে অন্যায়ভাবে কাউকে হেয় করার জন্য কিছু করা হলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।’
হাইকোর্ট এ সময় আরও বলেন, ‘যারা অর্থ পাচারে যুক্ত থাকে তাদের মানসিক রোগ আছে।’
আদালত বলেন, ‘দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদের দায়িত্ব আওয়াজ তোলা, আমরা যা করি আল্লাহ ওপর বিশ্বাস রেখে। না হলে কেয়ামতের দিন জবাব দিতে হবে।’
এ সময় ‘দুর্নীতি যারা করে তারা কি সোনার মানুষ? এসব মানুষ দিয়ে সোনার বাংলা হবে?’ এমন প্রশ্নও করেন আদালত।
একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, “ইদানীং দেখা যাচ্ছে কোনো রায় কারও বিপক্ষে গেলেই কোর্টকে অ্যাটাক করে মন্তব্য করা হয়। বলা হয় ‘ফরমায়েশি’ রায়। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর।”
আদালতে এস আলম গ্রুপের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। অপরদিকে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গত ৪ আগস্ট দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকে এস আলমের অর্থ পাচার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে হাইকোর্ট অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
ভয়েস/জেইউ।