শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে মোকাবিলায় গাজা উপত্যকার নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ সাগরের পানি দিয়ে প্লাবিত করার কথা ভাবছে ইসরায়েল। এ উদ্দেশ্যে বড় ধরনের পাম্পের একটি সিস্টেম স্থাপন করছে দেশটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের প্রায় এক মাইল উত্তরে কমপক্ষে পাঁচটি পাম্প স্থাপনের কাজ শেষ করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এসব পাম্প প্রতি ঘণ্টায় হাজার হাজার ঘনমিটার পানি টানতে পারে এবং এতে করে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজার সুড়ঙ্গগুলো প্লাবিত হয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজায় আটক সকল জিম্মি মুক্তি পাওয়ার আগেই ইসরায়েল এসব পাম্প ব্যবহার করবে কিনা তা এখরও পরিষ্কার নয়।কারণ, হামাস এর আগে জানিয়েছে যে, তারা ‘নিরাপদ স্থান ও সুড়ঙ্গে’ জিম্মিদের আটক রেখেছে।
তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, গাজা ভূখণ্ডের নিচে থাকা টানেলগুলোকে ইসরায়েল অকার্যকর করতে চায় এবং এর জন্য দেশটি বিভিন্ন উপায় অবলম্বনের কথা ভাবছে।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে গাজার সুড়ঙ্গগুলোকে প্লাবিত করার পরিকল্পনার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে: ‘আইডিএফ বিভিন্ন সামরিক ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে হামাসের সক্ষমতাকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে।’
এছাড়া টানেল প্লাবিত করার এই সম্ভাব্য পরিকল্পনার বিষয়ে ইসরায়েল গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমবার জানায় উল্লেখ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের বিষয়ে কতটা এগিয়ে গেছে তা কর্মকর্তারা জানেন না।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েল সরকার এই পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বা বাতিল করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি।
ভয়েস/আআ