সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
ঈদগাঁও’র পাঁচ ইউপি নির্বাচনের ৪টিতে চেয়ারম্যান হলেন যারা নাইক্ষ‍্যংছড়িতে পুকুর ডুবে এক শিশুর মৃত্যু মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই’র ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী কাল জাতীয় পার্টি কার চাপে নির্বাচনে এসেছে তা পরিস্কার করতে হবে:ওবায়দুল কাদের বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি চিনের দুই সদস্য নিহত, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধ‍ার কোরবানী ঈদে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী  অর্থনীতি: এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স উখিয়া দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলি সহ পাঁচ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক  ঈদগাঁওতে ৫ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে বহুল প্রতীক্ষিত ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউপির প্রথম নির্বাচন আজ

বেপরোয়া রোহিঙ্গারা: জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চায় সরকার

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়। এরপর থেকেই তাদের নিয়ে সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা, সামাজিক, পরিবেশগত ও আরও বিভিন্ন ধরনের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। বেপরোয়া রোহিঙ্গারা বিভিন্ন উপায়ে এখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে, যা দেশের জন্য বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি।

এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে রোহিঙ্গারা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা জন্মনিবন্ধন করতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে রক্ষিত রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করতে চাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সহায়তা করার জন্য ইতোমধ্যে জাতিসংঘের ওই সংস্থা প্রাথমিক সম্মতিও দিয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কাছে রোহিঙ্গাদের যে ডাটাবেজ আছে সেটি ব্যবহার করতে চায় সরকার এবং এর মাধ্যমে রোহিঙ্গারা যাতে কোনও ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে চায়।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ রয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে এবং তাদের ওই তথ্য ব্যবহার করা সম্ভব হলে রোহিঙ্গাদের পক্ষে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে কয়েক মাসের ভেতরেই ডাটাবেজ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

কী আছে ডাটাবেজে

২০১৭ সালের আগস্ট মাসের রোহিঙ্গারা যখন আসা শুরু করে তখন বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা যৌথভাবে রোহিঙ্গা ডাটাবেজ তৈরির একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রায় সাত লাখের মতো রোহিঙ্গার ডাটাবেজ তৈরি করার পরে সেটি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকেই ওই সংস্থা এই ডাটাবেজ আপডেট করার কাজ করছে। বর্তমানে প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার হাতের দশ আঙুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনার স্ক্যান করা আছে জাতিসংঘ সংস্থাটির কাছে।

কী কাজে ডাটাবেজটি ব্যবহার করা হবে

বর্তমানে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এটি প্রতিরোধ করতে চাই এবং এর জন্য আমাদের প্রয়োজন রোহিঙ্গা ডাটাবেজ। যেহেতু জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কাছে ওই ডাটাবেজটি আছে এবং তারা প্রতিদিন এটি আপডেট করে। আমরা এটি ব্যবহার করার জন্য ইতোমধ্যে তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। তারা আমাদের সহায়তা করতে রাজি আছে।

ওই ডাটাবেজটি জেনেভায় একটি সার্ভারে রক্ষিত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এখন খুঁজে বের করতে হবে ওই ডাটাবেজটিকে বাংলাদেশের যে সিস্টেম রয়েছে, সেটির সঙ্গে কীভাবে কাজ করানো সম্ভব।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। তাদের কোনোভাবেই বাংলাদেশে কোনও ধরনের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে দেওয়ার কোনও সুযোগ তৈরি হোক, এটি সরকার চায় না। সে কারণে আমরা প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের সব দরজা বন্ধ করে দিতে চাই।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION