EDITOR
- ৯ মে, ২০২৪ /
ভয়েস প্রতিবেদক:
মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর সাবরাং পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিলো দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও পাঁচ সদস্য।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী।
জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের বরাতে আদনান চৌধুরী বলেন, সকাল ১১ টার দিকে টেকনাফে নাফ নদীর সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ পয়েন্ট দিয়ে ইজ্ঞিন চালিত একটি নৌকা যোগে বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসেন। এসময় তাদের হাতে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। তারা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পোষাকও পরিহিত ছিলেন।
“ বিজিবির এ পাঁচ সদস্যের নৌকাটি নাফ নদীর কিনারায় পৌঁছালে দেখতে পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ঘিরে ফেলে। এসময় তারা ( বিজিপি সদস্য ) অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। “
স্থানীয় ইউএনও বলেন, “ পরে বিজিপির সদস্যদের নিরস্ত্রিকরণের পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিজিবির সদস্যরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। “
সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, সকালে মিয়ানমার বিজিপির ৫ পাঁচ সদস্য ইজ্ঞিন চালিত নৌকা যোগে সাবরাংয়ের খুরেরমুখ এলাকায় পৌঁছলে বিজিবির সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে তাদের নিরস্ত্রিকরণের পর বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়।
বিকাল ৫ টার দিকে বিজিপির এসব সদস্যদের গাড়ী যোগে ২০ কিলোমিটার দূরের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান, স্থানীয় এ ইউপি সদস্য।
গত রোববার টেকনাফে নাফ নদীর শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তিনটি কাঠের ট্রলার যোগে বিজিপির ৮৮ জন সদস্য পালিয়ে এসেছিল। তাদেরও হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনা বাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
ভয়েস/আআ