বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নৌপথে আসা প্রায় ১৪০ জন রোহিঙ্গাকে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করতে দিতে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনতা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দেশটির আচেহ প্রদেশের উপকূল থেকে প্রায় ১ মাইল দূরে আশ্রয়প্রার্থীদের কাঠের নৌকায় নোঙর করে ভেসে থাকতে দেখা গেছে। রুগ্ন-ক্ষুধার্ত যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও শিশু। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, নীল রঙের নৌকাটি শুক্রবার থেকে উপকূলে ভেসে আছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে পালিয়ে এসেছেন তারা। দুসপ্তাহের যাত্রায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন।
স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় তিন রোহিঙ্গাকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আচেহ জেলে সম্প্রদায়ের প্রধান মোহাম্মদ জাবাল বলেছেন, ‘আমাদের জেলে সম্প্রদায় তাদের এখানে জায়গা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। কারণ তারা যেখানেই গেছে, স্থানীয়দের জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করেছে।’
সমুদ্র বন্দরে বিশাল একটি ব্যানার টাঙিয়েছেন স্থানীয়রা। সেখানে লেখা রয়েছে, “দক্ষিণ আচেহ’র মানুষ রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।”
আচেহ পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের এই দলটি ৯ অক্টোবর কক্সবাজার ত্যাগ করেছিল। তাদের গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। যাত্রীদের কয়েকজন আবার অন্য দেশে যাওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করেছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাবাল বলেছেন, স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহ করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকেও তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে ২১৬ জন রোহিঙ্গা যাত্রা শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৫০ জন ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ প্রদেশে নেমে গেছেন।
মানব পাচারে জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আচেহ পুলিশ।
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন। রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। তাদের বেশিরভাগই নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত।
ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের রিফিউজি কনভেনশন, ১৯৫১-এর স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। ফলে আশ্রয়প্রার্থীদের জায়গা দিতে তাদের কোনও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা নেই। তবে মারাত্মক বিপদগ্রস্তদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়ে থাকে তারা।
ভয়েস/আআ