বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক, মহেশখালী
বঙ্গোপসাগরে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা রোববার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে উঠে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সাগর যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা।
এবার জেলেদের আশা এবার সাগরে গিয়ে প্রচুর ইলিশ ধরতে পারবে। এতে সাগর যাত্রার প্রস্তুতির যেন দম ফেলার সময় নেই জেলেদের।
প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার শেষের দিকে (১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর) গভীর সমুদ্র থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ সময় নদী ও সাগরের মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
জেলেরা জানান, সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রোববার (৩ নভেম্বর) রাত ১২টায়। ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করে অপেক্ষায় আছেন উপকূলের জেলেরা। সাগরে ৮-১০ দিন অবস্থান করার মতো খাবারও প্রস্তুত করা হয়েছে।
কুতুবজোম তাজিয়াকাটা ঘাটের জেলে রশিদ মাঝি বলেন, সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আমরা পালন করেছি। আমরা এরই মধ্যে ইলিশ মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় অপেক্ষায় আছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৪ নভেম্বর সকালে সমুদ্রে যাব। এ বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে আশা অনুযায়ী ইলিশ মাছ না পেয়ে উপকূলের জেলেরা দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তারপরও সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন তারা। অবরোধ শেষে সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লে দেনা পরিশোধ করতে পারব।
এছাড়া ঘাটে কর্মরত একাধিক জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার কারনে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়েছে তাদের।তারা বলেন, এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার সময় এসেছে।
দেশের জেলেরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করেছেন। আমাদের প্রশাসন ভারতীয় জেলেদের আটক করেছেন। এমন আইন সফল করতে দেশের জলসীমানা শতভাগ সুরক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে সরকার এমনটাই আশা করছি।
মহেশখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকতা রবিউল করিম বলেন, উপকূলের জেলেরা অনেক সচেতন হয়েছেন। আমরা দিন-রাত মা ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছি। আশা করছি, আমরা এ বছর শতভাগ সফল হয়েছি।
ভয়েস/জেইউ।