বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর চুক্তি করা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে লেবাননের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির মহাসচিব নাঈম কাসেম। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর লেবাননের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত প্রথম ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের পর, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে তৃতীয় দিনের মতো যুদ্ধবিরতি বজায় রয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনও সমস্যা বা মতবিরোধ দেখছেন না। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ৬০ দিনের মধ্যে সেনা মোতায়েন হবে। এই সময়ে ইসরায়েল সেখান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ নিজেদের যোদ্ধা সরিয়ে নেবে।
যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও লেবাননের সেনাদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি উচ্চ পর্যায়ে সম্পাদন করা হবে বলেও জানান নাঈম কাসেম। তিনি বলেন, ‘লেবাননের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে আমরা কাজ করব।’
এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লেবাননের কিছু সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করার জন্য সেনা মোতায়েন-সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গত বুধবার থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় সই হওয়া এ চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে ৬০ দিন সময় পাবে ইসরায়েল। এ সময় কোনো পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা চালাতে পারবে না।
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোতে লোকজনের ফিরে আসার ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে। ওই গ্রামগুলোতে মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তারা। শুক্রবারও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায় এবং দাবি করে যে,তারা হিজবুল্লাহর অস্ত্র লক্ষ্যবস্তু করেছে।
লেবাননের সেনাবাহিনী ও হিজবুল্লাহ উভয়ই এই ঘটনাগুলিকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে অভিযুক্ত করেছে।
ভয়েস/আআ