বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী:
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল এদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সাম্য, মানবিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার, সুশাসন, মানুষের মূল্যবোধের নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা। মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ, হানাহানি, জুলুম, নির্যাতন, লুটপাট ভুলে একটি শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার ব্রত, স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা। বিশ্বের বুকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে আমরা আমাদের প্রিয় স্বদেশকে গড়ে তুলতে চাই সম্প্রতিমুক্ত, সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, গোত্র,লিঙ্গ, ভাষা, শ্রেণি, বিশ্বাস, আচরণ, সংস্কৃতি, ন্যায়নীতি সর্ব বেশে সুন্দর একটি আবাসস্থল উপযোগী শোষণমুক্ত আইডল সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই।
গড়তে চাই একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র, যেখানে প্রতিটি মানুষ থাকবে নিরাপদ, প্রত্যেকের ধর্ম, সংস্কৃতি বা বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে মর্যাদার সাথে শান্তিপূর্ণ্য জীবন যাপন নিশ্চিত হবে। সম্মিলিত উদ্যোগে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এই অভিযাত্রা।
সম্প্রীতি কী?
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা, লিঙ্গ, শ্রেণি, বিশ্বাস, আচরণ, সংস্কৃতি, নির্বিশেষে মানুষের সাথে মানুষের যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তাই সম্প্রীতি। সম্প্রীতির একটি বড় অংশ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সম্প্রতি। সামাজিক সম্প্রীতি বলতে বোঝায় সমাজের মধ্যে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তিপূর্ণ্য, সৌহার্দপূর্ণ ও সম্মানজনক সহাবস্থান। সামাজিক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যকার বৈচিত্র্যময়তাকে স্বীকৃতি দেয় এবং নিরাপত্তা ও মর্যাদার সাথে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ের মানুষের মিলে-মিশে একই পরিবারের মত আর্দশের ব্রত নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা ধর্মীয়, সামাজিক মূল্যবোধের সম্প্রতির পূর্বশত ও মানবাত্মার বিবেক, অনুভূতি, মনুষ্যত্ববোধের আদর্শিক নীতিই স্রষ্টার সৃষ্টির মানবপ্রেম, আল্লাহ / সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির প্রতি দয়া ভালোবাসা। মহান আল্লাহ বলেছেন- আমি মহান সৃষ্টিকর্তা “সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টা সর্বত্র বিরাজমান ও লুকায়িত।
সম্প্রীতি কেন প্রয়োজন?
সমাজের বিকাশমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। মানুষের দলবদ্ধতার মধ্য দিয়েই সমাজের সৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় মানব সমাজের বিকাশ। আর মানুষ দলবদ্ধ হয় সম্প্রীতির মাধ্যমে। মানুষ যখন দলবদ্ধ হয়েছে তখন তারা সৃষ্টি করেছে নতুন দিগন্ত। তাই বলা যায়,সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছে মানুষের আজকের এই সভ্যতা ও সুন্দর পৃথিবীর অগ্রযাত্রা এবং মানবপ্রেম। একটি জাতির সামগ্রিক মঙ্গল এবং অগ্রগতির জন্য সম্প্রীতি অপরিহার্য। সম্প্রীতি বিভিন্ন পরিচয়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সহানুভূতির সম্পর্ক সৃষ্টি করে। সম্প্রীতির সৌহার্দপূর্ণ মনোভাব গোটা জাতিকে পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হতে সহায়তা করে।
সম্প্রীতি থাকলে কী হয়?
* সমাজের প্রত্যেকের সুপ্ত সম্ভাবনার বিকাশ ঘটে।
* প্রত্যেকের সমাজের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
* বিপদে -আপদে, সুখে- দুঃখে সবাই মিলে মিশে থাকে।
* প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা সুরক্ষিত থাকে।
* মানুষের সাথে মানুষের সুন্দর সম্পর্কের মাধ্যমে সমাজ স্থিতিশীল হয়।
* উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও টেকসই হয়।
* সমাজ শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় হয়।
সম্প্রীতি না থাকলে কী হয়?
* সমাজে দ্বন্দ্ব, ঘৃণা, সংঘাত ও সহিংসতা বিরাজ করে।
* অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
* মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
* সন্ত্রাস, যুদ্ধ, মারামারি, জুলুম, নৈরাজ্য সমাজ ব্যবস্থা, সুশাসনের অভাব, দূর্নীতিগ্রস্থ প্রশাসন, সামাজিক অস্থিরতা, ন্যায়বিচারের অভাব ও হানাহানি ঘটে।
* প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
* মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
* সভ্যতা, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ব্যবস্থা ধবংস হয়ে যায়।
সম্প্রীতি সুরক্ষার করণীয় :-
* ভিন্ন পরিচয়ের মানুষ ও তাদের সংস্কৃতিকে জানা।
* অন্যের বিশ্বাস, আচরণ, সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা।
* পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টি, মতবিনিময়, সাংস্কৃতিক লেনদেন।
* পাড়া, মহল্লা, মসজিদ, মন্দির, মক্তব, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সামাজিক সংগঠন, সেবামূলক সংস্থার মাধ্যম সামাজিক আন্দোলন ও জনসচেতনতার জোরদার করা।
* সম্মিলিত উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজন ও অংশগ্রহণ।
* নিজ নিজ পরিবার থেকেই সম্প্রীতি কি সন্তানদের উদ্ধুদ্ধ করা ও তা পরিবারের সদস্যদের সাথে প্রতিনিয়ত সম্প্রীতি সম্পর্কে গঠনমূলক ও নীতিমূলক পরিচর্যা করা।
* বিবেক, অনুভূতি, মনুষ্যত্ব ও যুক্তি দিয়ে সকল কুপ্ররোচণার ঊর্ধ্বে থেকে বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশ করা।
* শুভবোধসম্পন্ন মানুষের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং নেতিবাচকদের উদ্ধুদ্ধ করা।
* সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে ব্যবহারের ফলে সম্প্রীতির মুল লক্ষ্য ও সুরক্ষা, সুরক্ষিত, সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ হতে আমরা বঞ্চিত।
* পৃথিবীর কোন ধর্মে উগ্রবাদকে সমর্থন করে না। মানুষের সাথে মানুষের আন্তরিক, সৌহার্দপূর্ণ ও কার্যকর সম্পর্কই পারে বর্তমান সময়ের সংকট থেকে মানব সভ্যতাকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে। এটি নিশ্চিত করা আমাদের ঐতিহাসিক ও নৈতিক দায়িত্ব। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য মানবিক বিশ্ব রেখে যেতে আমাদের সকলকে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্প্রীতির শপথ নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ তথা সম্প্রীতির বিশ্ব।
ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার মতে –
ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর অনুপ্রেরণায় সৃষ্ট তরুণদের একটি স্বেচ্ছাব্রতী সংগঠন। ছাত্র -ছাত্রীদের নেতৃত্বে এ সংগঠন পরিচালিত হয়।এ সংস্থার প্রতিটি সদস্য নিজের উন্নত ভবিষ্যৎ নিজে গড়তে এবং অন্যকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাবান, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রত্যাশারভিত্তিতে এই স্বেচ্ছাব্রতী সংগঠন সারা দেশে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে সম্প্রতি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করার পর থেকে এখন বাংলাদেশে অন্যতম একটি স্বেচ্ছাব্রতী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে লক্ষাধিক ছাত্র -ছাত্রী ক্ষুধামুক্ত আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গঠনের প্রচেষ্টাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত কাজে যুক্ত।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ :
বিশ্ববিস্তৃত ক্ষুধা-দারিদ্র দূরীকরণের ব্রত নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছায়ব্রতী সংস্থা হিসেবে ১৯৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে দি হাঙ্গার -এর যাত্রা শুরু হয়। ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাতিন আমেরিকা বিভিন্ন দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশের দি হাঙ্গার প্রজেক্ট কাজ শুরু করে। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট গতানুগতিক কোন এনজিও বা দাতা সংস্থা নয়। এটি একটি বিশ্বাস, একটি প্রতিশ্রুতি ও একটি সামাজিক আন্দোলন। মানুষের অমিত সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে যাতে সে নিজেকে জয় এবং অন্যকে যুক্ত করে নিজের এবং দেশের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে সে লক্ষ্যে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট সারা দেশে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা :
২৮ | (১). কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।
৪১| ( ১).আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা – সাপেক্ষে।
(ক). প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে।
(খ). প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।
(২). কোন শিক্ষা -প্রতিষ্টানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম -সংক্রান্ত না হইলে তাহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না।
সামাজিক সম্প্রীতি সুরক্ষার অঙ্গীকার :
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে এ দেশের প্রতিটি নাগরিক মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে বসবাসের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবিক ও সৌহার্দপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার প্রত্যয় করছি।
বাংলাদেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ বহু জাতি -সংস্কৃতির দেশ। পরস্পরের প্রতি ঘৃণা -বিদ্বেষ দূর করে সম্প্রতি ও সহিষ্ণুতার ভিত্তিতে বহুত্ববাদী সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতি – ধর্ম -বর্ণ -পেশা-দল -মত-লিঙ্গ -ভাষা -বিশ্বাস নির্বিশেষে সকলের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভিন্ন বিশ্বাস, চিন্তাধারা, সংস্কৃতি, জীবনাচার ও পবিত্র স্থানসমূহের মর্যাদার প্রতি আমরা সবাই শ্রদ্ধাশীল।
সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীল রক্ষার অসহিষ্ণু মনোভাবের বিস্তার, হিংসা, ঘৃণা, -বিদ্বেষ এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রম বা সামাজিক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্থ করার যেকোনও ধরনের উস্কানিমূলক প্রতিরোধে আমরা সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবো। উদার, সহিষ্ণু, নিরাপদ, মুক্ত ও মানবিক সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সামাজিক সম্প্রীতি সুরক্ষায় আমরা আমাদের এই অঙ্গীকার ঘোষণা করছি।
নাগরিক ও সামাজিক সম্প্রীতি সুরক্ষার্থে সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ উদ্যোগে বিভিন্ন সুশীল সমাজ, ধর্মীয় নেতা, ধর্মীয়গুরু, শিক্ষক, চিকিৎসক, সব ধর্মাবলম্বী নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে সভা সেমিনার জনসচেতনতা উদ্ধুদ্ধ করণে বিশেষ ভূমিকা পালনে ত্বরান্বিত করছে।
# Sense অর্থ:- Sense হচ্ছে মানব জাতির এক ইন্দ্রিয়, যার মধ্যে বিদ্যমান তিনি বিবেকবান, মনুষ্যত্ববান মানব। বিচারবুদ্ধি; কাণ্ডজ্ঞান; বিষয়বুদ্ধি; বুদ্ধিবৃত্তি ব্যবহারবুদ্ধি; বোধ; সুবুদ্ধি; তাৎপর্য বহুজনের সাধারণ অনুভূতি বা মতামত; জ্ঞান; চেতনা; মনোভাব যাদের থাকে, সে মানুষ সম্প্রীতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
উপসংহারন্তে সকলের উপলব্ধি হওয়া উচিত, আমাদের সৃষ্টিকর্তা এক ও অভিন্ন মানবাত্মার মানুষ, একই রক্তে মাংসে গড়া মানব জাতি হিসেবে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সবশেষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সুন্দর সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে, প্রথমে পরিবার, গ্রাম, মহল্লা, শহর, রাষ্ট্র সর্ব ক্ষেত্রে সামাজিক সম্প্রীতি অটুট রাখার প্রয়াসে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়, জনমত সৃষ্টি করি এবং সকলেই সম্প্রীতিমুক্ত বাংলাদেশ ও একটি বাসযোগ্য মানবিক বাংলাদেশ চাই।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম ছিদ্দিকী
শিক্ষক, লেখক, কলামিস্ট
কক্সবাজার।
ভয়েস/জেইউ॥