বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
তারকা হোটেল গুলোতে মাতিয়েছে শিল্পীরা
রাত যখন ১২টা ১ মিনিট, তখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুরু হয় আলোর ঝলকানি প্রশাসনিকভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানেনি কেউ। আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে পালন করেছে বর্ষবরণ। মুহুর্মুহু আতশবাজির শব্দে প্রকম্পিত পুরো শহর। বরণ করে নিল নতুন ২০২৫ সালকে। উন্মুক্ত স্থানে কোন বর্ষবরণ অনুষ্ঠান না হলেও তারকামানের হোটেল গুলোতে হয়েছে জমকালো অনুষ্ঠান।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্পনকে ঘিরে সৈকতসহ হোটেল-মোটেলগুলোতে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে সৈকতের বালিয়াড়িতে ছিল না কোনো আয়োজন। সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটা নীরব ছিল সাগরতীর। কিন্তু রাত ১১টা পার না হতেই সৈকতে দলে দলে জমায়েত হতে শুরু করেন পর্যটকরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় দর্শনার্থীরা। রাত সাড়ে ১১টা বাজতে না বাজতেই সৈকতে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক রাহেলা বৃষ্টি জানান, ‘সৈকতে এমন আলোর ঝলকানি দেখার জন্য আসা। এখন খুব ভালো লাগছে, আতশবাজির ঝলকানিতে নতুন বছরকে বরণ করতে পারলাম।’
ঢাকা রাজধানী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মিনহাজ ও সুমি জানান, ‘প্রতি বছর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তারা কক্সবাজারকে বেচে নেন। এবারও তা ব্যতিক্রম হয়নি। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভাল অনুষ্ঠান হয়েছে কক্সবাজারে।’
এদিকে, জমজমাট ইনডোর প্রোগ্রামে বর্ষবরণ করেছে তারকা হোটেলগুলো। বিশেষ করে গানে গানে পর্যটকদের মাতিয়ে রাখে তারকা শিল্পী ইমরান, পড়শী ও কর্ণিয়া। গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দ আর নেচে-গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান হোটেলে অবস্থান করা অসংখ্য পর্যটক। আনন্দের মধ্য দিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে পারায় দারুণ খুশি ভ্রমণপিপাসুরা।
কক্সবাজারে অন্যতম তারকামানের হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টের গেস্ট রিলেশন অফিসার সোমাইয়া আকতার রাবু জানান, ‘হোটেল ইনডোরে অতিথিদের জন্য জমকালো অনুষ্ঠান হয়েছে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দেশের নামকরা শিল্পীরা মাতিয়েছে পুরো অনুষ্ঠান।’
নতুনন বছর উদ্যাপনকে ঘিরে সৈকত থেকে শুরু করে হোটেল মোটেল জোন ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ছিল নিরাপত্তার ছাদরে ঘেরা। প্রতিটি পয়েন্টে নিয়োজিত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান কক্সবাজার ভয়েসকে জানিয়েছেন, ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে পর্যটকরা থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করেছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো: রহমত উল্লাহ কক্সবাজার ভয়েসকে জানিয়েছেন, ‘কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ছাড়াও জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ কারণে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ভয়েস/আআ