বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
খেলাধুলা ডেস্ক:
শেষ ৬ বলে ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল রংপুর রাইডার্সের। হাতে ছিল ৩ উইকেট। সেই কঠিন সমীকরণটাই পরে কী অবিশ্বাস্যভাবেই না মিলিয়ে দিলেন নুরুল হাসান সোহান।
কাইল মায়ার্সের করা শেষ ওভারে ৬, ৪, ৪, ৬, ৪, ৬ নিয়ে রুদ্ধশ্বাস এক জয় এনে দিলেন সোহান।
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ৩ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন রংপুরের অধিনায়ক। শেষ বলে ৬ হাঁকানোর পর উদযাপনটাও ছিল দেখার মতো। জয়ের নায়ককে ধরতে কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের মতো দৌড় দিলেন ডাগআউটে থাকা খেলোয়াড়রা। যেন কে আগে ম্যাচের নায়ককে স্পর্শ করবেন সেই প্রতিযোগিতায় নামেন তারা।
এর আগে শেষ ১২ বলে ৩৯ রান প্রয়োজন ছিল রংপুর রাইডার্সের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। জাহানদাদ খানের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন খুশদিল শাহ।
তবে ফিরতি বলে আউট হওয়ায় সেই সম্ভাবনা আবার মিইয়ে যায়। একই ওভারে আরো দুই উইকেট নিয়ে বরিশালকে তো প্রায় জয় এনে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার। তবে শেষ ওভারে বরিশালের মুখ থেকে জয়টা যেন ছিনিয়ে নিলেন সোহান।
সিলেটে ১৯৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর। দলীয় ৪ রানের সময় এবারের বিপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা অ্যালেক্স হেলস।
২১৮ রানে নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক আউট হয়েছেন আজ ১ রানে। তবে আরেক ওপেনার তৌফিক খান তুষার দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি শুরুর ধাক্কা সামলান।
অবশ্য খুব বেশিক্ষণ দলের হাল ধরতে পারেননি দুজনই। ৩৮ রান করা তৌফিকের বিপরীতে ২২১ রানে টুর্নামেন্টের শীর্ষ রানসংগ্রাহক সাইফ আউট হন ২২ রানে। এতে দলীয় ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানো রংপুরের জন্য জয় পাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
সেই কঠিন কাজটাই পরে সহজ করেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। চতুর্থ উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়ে। তবে শেষে গিয়ে সমীকরণটা আর মেলাতে পারেননি তারা। ১৮তম ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে ইফতিখারকে আউট করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। সমান ৩ ছয় ও চারে ৪৮ রানে আউট হন পাকিস্তানের ব্যাটার।
পরের ওভারের প্রথম দুই বলে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে খুশদিল জয়ের সম্ভবনা জাগালেও স্বদেশী জাহানদাদের বলে আউট হলে সুতোয় ঝুলতে থাকে ম্যাচ। সেই ম্যাচ পরে অধিনায়ক সোহানের বীরত্বে জিতল রংপুর। ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৪৮ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন খুশদিল। এতে টানা ছয় ম্যাচে ছয় জয় রংপুরের।
ভয়েস/জেইউ।