শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
আধুনিক নৌ বন্দর স্থাপনে বাঁকখালী নদীতে উচ্ছেদ শীঘ্রই-নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা
আধুনিক নৌ বন্দর স্থাপনের লক্ষ্যে খুব দ্রুতই কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। আর বিগত সরকারের ‘তথাকথিত’ উন্নয়নের নামে বরাদ্দকৃত কক্সবাজারের ১২ হাজার ভূমি বন বিভাগকে ফেরত দেওয়া হবে। অন্তবর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী জবরদখলের সরজমিন চিত্র দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেছেন।
কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী প্রমত্তা বাঁকখালী নদীর দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা সমালোচনার যেন শেষ নেই। দখলবাজদের কবলে পড়ে ঐতিহ্য ও জৌলুস হারিয়েছে নদীটি। বৃহস্পতিবার সকালে সেই দীর্ঘ প্রতিক্ষিত বাঁকখালী নদীর তীর পরিদর্শনে যান অন্তবর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ও সৈযদা রিজওয়ানা হাসান। দেখতে পান নদী জবর দখলের করুন চিত্র। কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট, পেশকারপাড়া, মাঝিরঘাট থেকে শুরু করে ১০ কিলোমিটারের বেশী নদীর জায়গা দখল করে গত ১৬ বছর ধরে একের পর এক স্থাপনা তৈরী হয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন একাধিকবার উচ্ছেদ করেও ঠেকাতে পারেনি প্রভাবশালীদের দখল কার্যক্রম। প্রভাবশালীরা নানানভাবে আইনি জঠিলতা তৈরী করে নদীর জমিতে গড়ে তুলেছে অসংখ্য স্থাপনা।
জবরদখরের এসব চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুই উপদেষ্টা। নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিযার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওযাত হোসেন বলেন, কক্সবাজারে আধুনিক নৌ বন্দর স্থাপনের লক্ষ্যে খুব দ্রুত এসব দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। নদীর সীমানার মধ্যে কেউ থাকতে পারবেনা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা সৈযদা রেজওয়ান হাসান বলেন, কক্সবাজারকে বাঁচাতে হলে সকল অবৈধ দখল ও দুষণ মুক্ত করতে হবে। দেশের বিদ্যমান আইনের তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণির দখলবাজ দেশের সমুদ্র নদী, খাল দখলে মেতে উঠেছে। যতদিন সময় পাওয়া যায় সেই সময়ের মধ্যে কক্সবাজারের বাকঁখালী নদী ও আলোচিত একান্ন একর শীঘ্রই দখল মুক্ত করা হবে। বন বিভাগকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে ১২ হাজার একর জমি।
এদিকে সকাল ১১ টার দিকে নুনিয়াছড়াস্থ ‘বিআইডাব্লিউটিএ’ ঘাট থেকে কক্সবাজার মহেশখালী নৌরুটে যাত্রী পারাপারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সী ট্রাক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
ভয়েস/আআ