বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের আলোচনা চলছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। মিশরের পর্যটন শহর শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা শুরু হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, মিশরে মধ্যস্থতাকারী ও তাদের প্রতিনিধি দলের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারের মানচিত্র ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
হামাস কর্মকর্তা আরও জানান, হামাস প্রতিনিধি দল দাবি জানিয়েছে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির প্রতিটি ধাপ যেন ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের ধাপগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত থাকে।
হামাস জোর দিয়ে বলেছে, শেষ ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির সময়ই হতে হবে দখলদার বাহিনীর চূড়ান্ত প্রত্যাহার। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার অপরিহার্য।
এদিকে বুধবার ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাবের আলোচনায় মিশরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানিও অংশ নেবেন।
‘শারম আল-শেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বৈঠক করবেন।’ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাজেদ আল-আনসারি এ কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির পর ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করবে না, এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, প্রাথমিক নিশ্চয়তা হলো, যদি এই চুক্তি সম্পন্ন হয়, আর বর্তমানে আলোচনাও চলছে, তাহলে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করব। আমাদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে এবং আমরা তা প্রয়োগ করব যেন সবাই চুক্তি মেনে চলে।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে, শুধু গাজা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সোমবার মিশরের শারম আল–শেখে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল। হামাসও কিছু প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি বড় বিষয় রয়ে গেছে, যা এখনো মীমাংসা হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা।
ভয়েস/জেইউ।