বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

করোনা থেকে ফিরে আসার লড়াইটা সহজ ছিল না!

এম. ওসমান গণি

এম. ওসমান গণি :

১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে শরীরে হঠাৎ জ্বর আসে এর আগের দুইদিন ছিলো হাল্কা জ্বর। বুক জ্বালা, বমি ছিল চিকিৎসকের সাথে কথা বলি। উপসর্গ শুনে পরামর্শ দিলেন, নাপা ও স্যালাইন খাওয়ার জন্য বললেন, এগুলো তো করোনার উপসর্গ না। পরের দিন পুরো অসুস্থ হয়ে পড়লাম তারপর ও নমুনা দিতে চাইলে চিকিৎসক জানান, এগুলো করোনার লক্ষণ না।

পরে ১৪ তারিখে সিনিয়রের পরামর্শে নমুনা দেই। তখন চিকিৎসকে জিজ্ঞেস করি, অফিস করতে পারবো কিনা। তিনি বললেন, চালিয়ে যান….দেখতেছি শরীর দিন দিন আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে বেড়ে যাচ্ছে শ্বাসকষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও চলছে কিন্তু ওষুধ খেয়েও কোন ভালো লাগছিলনা। কি করবো বুঝতে পারছি না দিন দিন খুব বেশি ভেঙে পড়ছি, প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি ডাক্তারের সাথে ডাক্তার ও সাহস দিয়ে যাচ্ছেন।

জ্বর নিয়ে যখন বাসা পৌঁছাই, সূর্য তখন দিগন্ত ছুঁই ছুঁই। গুটি গুটি পায়ে মেঘদল ভেসে যায় অজানা গন্তব্যে। বাসার পূর্ব দক্ষিণে প্রিয় পিয়ারা গাছটা ঠায় দাঁড়িয়ে। একটি বাদুড় পরলো তার ওপর পাতার দুলনি। সেদিন ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় জানতে পারি, আমি করোনা আক্রান্ত। এই খবরের জন্য আমি কখনো প্রস্তুত ছিলাম না। মুষড়ে পরি। ভয় পাই। বিশেষ করে জ্বর আসার পর থেকে অনেকের সাথে দেখা হয়েছে তাদের নিয়ে খুব বেশি চিন্তায় পড়ে গেলাম। আতঙ্কিত হই। চোখ ফেটে নামে জল। অস্ফুটে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে হাহাকারধ্বনি।বাসায় এসে মাকে ফোন করি মা কান্নায় ভেঙে পড়লে, মাকে বললাম মা দোয়া করিও ইনশাআল্লাহ আমি সুস্থ হয়ে যাবো।

তারপর এক এক করে ভাই বোনদের ফোন আসতে শুরু করলো শুরু হল এক কান্নার রোল। সবার কাছে দোয়া চেয়ে ফোন কেটে দিলাম গেল একবছর ধরে বাবা খুব বেশি অসুস্থ, আমি অসুস্থ হওয়ার কয়েকদিন আগেও বাবা কে নিয়ে প্রতিদিন যেতে হয়েছে ডাক্তারের কাছে।
আরো বেশি চিন্তায় পড়ে গেলাম আল্লাহর কাছে শুধু দোয়া চেয়েছি আমার বাবাকে যেন আল্লাহ সুস্থ রাখে করোনা মুক্ত রাখে। তবে ঝিরিঝিরি বাতাস আমাকে জানিয়ে দেয় বেঁচে আছি। এই কয় দিন রুমের পশ্চিম পাশের জানাল দিয়ে আকাশ দেখি। বাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকি। সন্ধ্যার পর ব্যাঙের ডাক। প্রকৃতির ওইদানটুকুই খুব আপন তখন।

এদিকে প্রতিবেশীদের জ্বলজ্বলে নগ্ন কথোপকথন। হয়রানি। দুয়েকজন ছাড়া কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। জানি জীবন অনিশ্চিত, পরতে পরতে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে করোনা আমাকে চিনিয়েছে কে আপন- কে পর। জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে দেখেছি চেনা মানুষ কতো দ্রুত অচেনা হয়।
ফাঁকা মরুভূমিতে বালুঝড় হয় ভীষণ, থামাতে পারি না।যে আমি সবার সঙ্গে বাঁচতে চাইতাম। সে আমি ভীষণ একলা-একা। বুঝতে পারলাম, বেঁচে থাকতে হলে বেশি কিছুর তেমন প্রয়োজন পড়ে না। যে জীবনে মানুষের ভিড় যত কম,সেখানে নিশ্বাস নেওয়ায় সুবিধা বেশি। এরপর একটা না হওয়া ভোরের জন্য অপেক্ষা। আর অলস দুপুরের গন্ধ। আহারে জীবন। আহা জীবন…

করোনা রোগীদের কাছে বাঁচার আকুতি শুনেছি অনেক আগে । আর অপেক্ষা করি কোন এক শুদ্ধ সকালের একমুঠো রোদের। যে সকালে সম্পূর্ণ সুস্থ হবো আমি। উল্লেখ্য আমার সংস্পর্শে আসা কেউ করোনায় আক্রান্ত হন নি এটাই চেয়ে ছিলাম আল্লাহর কাছে। টানা ১০ দিন বাসায় আইসোলেশনে থাকার পর, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য নমুনা দিতে হাসপাতালে যায় ২৬ সেপ্টেম্বর নমুনা দেওয়ার সন্ধ্যায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে আলহামদুলিল্লাহ এই দশটা দিন যে কতটা যন্ত্রনাই কেটেছে উপর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না! আমি সৌভাগ্যবান। জীবনে অসংখ্য ভালো মানুষ ও বন্ধুর দেখা পেয়েছি। নানা চড়াই-উৎরাইয়ে অসংখ্য মানুষকে পাশে পেয়েছি। সজ্ঞানে কোনোদিন কারও ক্ষতির চেষ্টা করিনি।

নিজের অর্জন নিয়ে সন্তুষ্ট থেকেছি। জীবনভর পরিশ্রম করেছি। আজও করছি। আমি পারিবারিক মানুষ। বিশ্বাস করি পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা এবং পরিবারের সমর্থন হচ্ছে সাফল্যের আসল মন্ত্র। অনেকের কাছে চির কৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম যারা করোনার সময়ে আমার পাশে থেকেছে খবর নিয়েছে সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় বড় ভাই সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল ভাইয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ, কারণ আমার এই করোনার দুঃসময়ের মধ্যে সবচাইতে বেশি আমাকে সাহস জুগিয়েছে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করছেন একদম বলতে গেলে সোহেল ভাইয়ের এই সাহস না পেলে হয়তো করোনা থেকে মুক্তি পেতে আরো অনেক সময় লাগতো।

করোনার সময়ে কেউ কারো পাশে আসেনা তারপরও আপনি এসেছেন আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। ভাইয়া আরো বেশি ঋণী করে ফেললেন আমাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে সব সময় সুস্থ রাখে নিরাপদে রাখে। আরো অনেক সহকর্মীর কাছে অনেক বেশি ঋণী হয়ে গেলাম করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ দিন বাসায় আইসোলেশন এ ছিলাম। ওই সময়ে পরিচিত-অপরিচিত শত শত মানুষের এসএমএস, মেইল, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়েছি। দোয়া এবং ভালোবাসা ভরা সেসব বার্তা পড়ে আমার চোখ ভিজে যেত। এদিকে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আল্লাহ’র অশেষ রহমত এবং সবার প্রার্থনায় এখন করোনামুক্ত। যদিও লড়াইটা সহজ ছিল না। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি।

এক মানবিক করোনা যোদ্ধা আনোয়ার পরিবারের মায়া ত্যাগ করে রাত-দিন ছুটে চলছে করোনাক্রান্তদের কাজে। অথচ জীবনের প্রতি তার কোন মায়া নেই। যেখানে করোনা রোগী, সেখানে ছুটেন। পৌছে দিচ্ছেন ওষুধ, পানি, খাবারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। তেমনি আমার বেলাও তার সহযোগিতা কোন ধরণের ঘাটতি ছিল না। যেদিন আমার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে, সেদিন সর্বপ্রথম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রিয় আনোয়ার ভাই আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম।

এমনিতে ও মানসিক ও স্বাস্থ্যগতভাবে ভালো ছিলামনা কিন্তু ভাইরাসটি যে কোনো মুহূর্তে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। এই ভাবনায় আমার সামনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল অক্সিজেন এবং আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত একটি হাসপাতাল।

বাসার কাটানো সময়টা আমার জন্য বিরাট শিক্ষণীয় হয়ে আছে ও থাকবে। একা, পরিবার-পরিজনহীন। প্রিয়জনের স্পর্শ নেই, ভিজিটর নেই। এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। কিন্তু উপায় কি! ফলে, ওই সময়ে নিজেকে নতুন করে চেনা-জানার কাজে লাগিয়েছি। জীবনকে বুঝতে চেষ্টা করেছি নতুন করে। পেছনে ফিরে দেখেছি, কোথায় কী ভুল করেছি? আর সামনে তাকিয়ে ভবিষ্যৎ পড়ার চেষ্টা করেছি। যতটা সম্ভব নিজেকে সক্রিয় রেখেছি। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এসএমএসের জবাব দেওয়া,বাসার মধ্যে হালকা হাঁটা-চলা করা, এবং দীর্ঘ প্রার্থনায় সময় কেটেছে আমার। এ সময়ে নিজের সঙ্গে প্রচুর কথা বলতাম। করোনা নিয়ে না ভেবে, নিজেকে সময় দিয়েছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে জীবনের বড় অংশ দাতব্য কাজে ব্যয় করব। এ নিয়ে একটা পরিকল্পনাও করেছি। সবকিছু চূড়ান্ত হলে, পরিকল্পনাটা প্রকাশ করব।

আমি চাচ্ছি, বেশিসংখ্যক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে। জানি, সমাজের প্রায় সবাই সাধ্যমতো গরিব-অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে। এরপরও, যারা ধনী এবং বিত্তবান, তারা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে, অনেক বড় কাজ করা সহজ হবে। করোনায় আক্রান্ত সবার উপসর্গ এক রকম নয়। শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা ও জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গের রোগী আমি দেখেছি। অনেকের আবার উপসর্গের সব বিদ্যমান। তবে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত ভালো, তার কষ্ট তত কম। আমার মনে হয়, করোনায় শারীরিক কষ্টের চেয়েও বেদনার হচ্ছে আইসোলেশন বা একা থাকা। এর চেয়ে কষ্টের কিছু হয় না। আরেকটা হচ্ছে এনজাইটি বা উদ্বেগ। এই সময়টাতে দুর্বলতা গ্রাস করতে থাকে শরীর ও মন। শরীরের ভেতরে এমনসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটতে থাকে যা উপলব্ধি ছাড়া বর্ণনা করা কঠিন। করোনা আসার পর থেকে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, যা স্বাভাবিক ও যৌক্তিক।

মানছি, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আমেরিকা ব্যর্থ হলো কেন? ইতালি, স্পেন বা ব্রিটেন? তাদের ক্ষেত্রে যুক্তি কী? আমার মনে হয়েছে, যুগ-যুগ ধরে বিশ্বনেতারা বা রাষ্ট্রগুলো চিকিৎসা নিয়ে যত ভেবেছে, জনস্বাস্থ্য নিয়ে ততটা ভাবেনি। তারা শিল্পায়ন আর প্রবৃদ্ধির হিসাব কষেছে। পরিবেশ নিয়ে ভাবেনি। তাছাড়া অদৃশ্য এক ভাইরাস বিশ্বকে তাড়া করবে, এমন দিনের কথাও কেউ কখনো ভাবেনি। ফলে, ওলটপালট হয়ে গেছে সব হিসেবনিকেষ। উন্নত-অনুন্নত সব দেশকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে করোনা। আমাদের দুর্বলতা আছে। অপচয় আছে। সম্পদ ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি আছে। এর মধ্যেও চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, নার্স সবাই সেরা সেবা দিতে চেষ্টা করছেন। আস্তে আস্তে সরকারি-বেসরকারি সেবার পরিধি বাড়ছে। যদিও তা যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশের একটি। এখানে ব্যবস্থাপনা সহজ নয়। বরং খুব কঠিন। এরমধ্যেও স্মার্ট ব্যবস্থাপনা দিয়ে বিদ্যমান সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারলে আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।

অন্যদিকে, ‘ফেসবুক ডাক্তারে’র বদলে মানুষ যেন প্রকৃত চিকিৎসকের কথা মেনে চলে, সে বিষয়েও প্রচারণা দরকার। ‘ফেসবুককেন্দ্রিক টোটকা ডাক্তারি’ বিপদের কারণ হতে পারে। আমার বিশ্বাস, করোনা পরবর্তী সময়ে দুনিয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশও এর অংশীদার হবে।
শুনেছি, পৃথিবীর অনেক দেশে মাত্র ১৫ মিনিট বা আধঘণ্টায় করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যাচ্ছে। যদি সত্যি তেমন কোনো প্রযুক্তি থেকে থাকে, তবে তা আমাদেরও দরকার। মোট কথা, করোনা পরীক্ষার সুবিধা ও চিকিৎসাকে মানুষের আয়ত্তে¡ আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনার টিকা আবিস্কার না হলেও বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ বছর বা আগামী বছরের কোনো এক সময়ে টিকা পাবে বিশ্ব। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে এ নিয়ে গবেষণা চলছে। অনেক জায়গায় ট্রায়ালও চলছে। এজন্য বহু দেশ টিকার আগাম বুকিং দিয়ে রাখছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশও এখন থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে যেন বিশ্ব কোনো টিকা পেলে বাংলাদেশও তার থেকে একটা অংশ পায়।
যতদিন টিকা আবিষ্কার না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত, আমাদের করোনার সঙ্গে বসবাসের কৌশল শিখতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে জিততে যে সময় প্রয়োজন, সেটুকু দিতে হবে। মানুষ করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হবেই, ইনশাআল্লাহ। এখন মাটি কামড়ে টিকে থাকার সময়। কঠিন এই সময় ঠান্ডা মাথায় পার করতে হবে। কিন্তু টিকে থাকতে হবে। এজন্য যে যে কৌশল প্রয়োজন, তাই নিতে হবে। এখন টিকে থাকতে পারলে সেটাই হবে বড় বিনিয়োগ এবং ভবিষ্যতের লাভ।।

প্রতিটি সংকটই নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ নিয়ে আসে। করোনা আমাদের আপদকালীন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রতি নজর দিতে শিখিয়েছে। শুধু ব্যবসা নয়, প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের কথা ভাবতে শেখাচ্ছে। চিকিৎসা, শিক্ষা, মানবিকতার বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে ভাবার অবকাশ দিয়েছে। পুঁজি মানে শুধু ভোগ বা মুনাফা নয়। বরং সুষমবণ্টন এবং সম্পদ পুনর্বিন্যাসের বিষয়ও বটে। করোনা না এলে এই উপলব্ধি কি হতো? করোনা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, প্রবৃদ্ধির অংকে বন্দী জীবনকে সহজ করার সুযোগ এনে দিয়েছে। দেশ মধ্যম আয়ের হলেই হবে না, দেশের মানুষকেও একইমানে টেনে তুলতে হবে। সমাজের গভীরে তাকাতে হবে। বৈষম্য কমাতে হবে। পরিশেষে সবার কাছে অনুরোধ থাকবে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সতর্ক থাকবেন। মাস্ক ব্যবহার করুন, সুস্থ থাকুন। লেখক,  এম. ওসমান গণি, সম্পাদক, দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তা।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION