সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
শনিবার (৩০ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মেয়েটিকে ৫নং ওয়ার্ডের বমু পানিস্যাবিল নয়া বাজারস্থ তার বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলে করে তুলে আনে সাইফুল। মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে রাত ২টায় মেম্বারকে বিষয়টি অবহিত করে মেয়ের মা। পরে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রমিজ উদ্দিন ও কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সহ সন্দেহজনক ভাবে সাইফুলের বাড়ি তল্লাশি করলে ছেলের রুমে মেয়েটিকে পাওয়া যায়।
ভিকটিম মেয়েটি জানায়, আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ১ বছর। এর আগেও সাইফুল আমাকে ৫/৬ বার রাতে তার ঘরে নিয়ে আসে। সে অসংখ্যবার আমার দেহ ভোগ করেছে। গতরাতে আমি আসতে না চাইলে সে আমার আপত্তিকর ছবি ফেইসবুক ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তাই আমি আসতে বাধ্য হয়েছি। রাত সাড়ে ১১টায় মোটর সাইকেলে করে সে আমাকে নিয়ে আসে। ২টায় আমার পরিবারের লোকজন ও মেম্বার আমাকে খুঁজতে সাইফুলের বাড়িতে আসে। তারা সাইফুলের রুমে আমাকে পায়। সকালে সিদ্ধান্ত হবে বলে আমাকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আসে। তারা ভোরে সাইফুলকে সরিয়ে দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি এখন কোথায় যাবো ? হয়ত সাইফুল আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমার মরণ ছাড়া উপায় নাই। আমি এখন ২ মাসের অন্তসত্তা। ভোরে ছেলের পরিবারের লোকজন আমার মোবাইল, নাক-কানের স্বর্ণ গুলো নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব বলেন, রাতে আমাকে বিষয়টি রমিজ মেম্বার অবহিত করে। সকালে সিদ্ধান্ত হবে বলেছিলাম। সকাল হতে আমি ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত থাকায় এখনো বৈঠকে বসতে পারিনি।
এই বিষয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়ে পক্ষ এখনো কোন অভিযোগ করেনি। তারা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।