শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
আবরার নাঈম:
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি রোকন। প্রতিটি সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ। হোক সে নারী কিংবা পুরুষ। হজ পালনে গড়িমসি করা কিংবা বিলম্ব করা উচিত নয়। সম্ভব হলে যৌবনকালে হজ পালন করা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর জন্য উক্ত ঘরের হজ করা লোকদের জন্য আবশ্যক, যার সে পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে এবং যে ব্যক্তি অস্বীকার করবে (সে জেনে রাখুক) নিঃসন্দেহে আল্লাহতায়ালা বিশ্ব জাহানের মুখাপেক্ষী নন।’
(সুরা আলে ইমরান ৯৭)
কত মানুষ ধনসম্পদের প্রাচুর্যতায় ডুবে আছে। গাড়ি, বাড়ি ও নগদ অর্থ সবই আছে। তবুও অলসতা ও উদাসীনতায় হজ পালনে কালক্ষেপণ করছে। এমন ব্যক্তি সম্পর্কে হাদিসে রয়েছে কঠিন ধমকি। এক হাদিসে আবু উমামা আল বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, যে লোক কোনো অসুস্থতা কিংবা বাহ্যিক প্রয়োজন অথবা জালেম শাসকের বাধা প্রদান ব্যতীত হজ পালন করল না, সে ইহুদি কিংবা খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক। (তুহফাতুল আহওয়াজি ৩/২৪৪)
যদি কেউ হজ পালনে গড়িমসি করে কিংবা কোনো কারণে হজ পালন করতে না পারে, আর ওই অবস্থায় তার মৃত্যু হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে করণীয় হলো, ওই মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ পালন করা। অর্থাৎ তার ওয়ারিশগণ তার পক্ষ থেকে হজ পালন করবে। মুসা ইবনে সালামা হুজালী (রহ.) থেকে বর্ণিত, ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, সিনান ইবনে সালামা জুহানির স্ত্রী তাকে বললেন, যেন তিনি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন যে, তার মা হজ না করেই ইন্তেকাল করেছেন। তার মায়ের পক্ষ থেকে সে হজ করলে তা যথেষ্ট হবে কী? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তার মায়ের কোনো দেনা থাকত আর তার পক্ষ হতে সে আদায় করত, তাহলে কী তার মায়ের পক্ষ থেকে আদায় হতো না? অতএব সে যেন তার মায়ের পক্ষ থেকে হজ আদায় করে। (সুনানে নাসায়ি)
ভয়েস/আআ