মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সুদিনে মহেশখালীর পান চাষীরা

মহেশখালী পান, ফাইল ছবি

ভয়েস প্রতিবেদক, মহেশখালী:

পান বিড়া প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত

করোনার প্রভাবে কু-দিন পেরিয়ে সু-দিনে ফিরেছে মহেশখালীর পানচাষীরা। এখন পানের বিড়া দুইশ থেকে তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে খুশি চাষীরা ও তাদের পরিবার পরিজন এমন জানালেন ছোটমহেশখালীর আবদুর রহমান নামের পানচাষী।

সরজমিন ঘুরে জানাযায়, মহেশখালীতে চলমান করোনার প্রভাবে উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয় করতে না পারায় বড় ধরণের লোকসানে পড়েছিল পান চাষীরা।‘‘এক বিড়া বড় পান চলতি বছরের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী- মার্চ মাসে বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা দরে। সেই পান করোনাকালীন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বিক্রি হয়েছে বিড়া প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত।
সরেজমিনে মহেশখালীর বিভিন্ন পানের হাট বাজার ঘুরে জানাগেছে, ইতিমধ্যে পানের দাম বৃদ্ধি পেয়ে একবিড়া পান বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যস্ত। অপরদিকে পান চড়া দামে বিক্রি হওয়ার কারনে নতুন করে পান চাষাবাদের নেমেছে পানচাষীরা।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পানের দাম কমে যাওয়ায় মহেশখালীতে লোকসানে পড়েছেন পান চাষীরা। কয়েকগুণ লোকসান গুণে তাদেরকে পান বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে মূলধন তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তবুও ঘুরে দাড়ানোর জন্য নতুন ভাবে পান চাষ শুরু করেছে পান চাষীরা।

চাষিরা বলছেন, আগে যে দামে পান বিক্রি হতো তার থেকে কয়েকগুণ কম দামে এখন বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া বরজ থেকে পান ভাঙতে যে শ্রমিক খরচ হয় পান বিক্রি করে সেই টাকা তোলাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরে ও আগামী বছর পানের দাম পাবেন এমন আশায় নতুন ভাবে চাষাবাদ শুরু করেছে। পান ব্যবসায়ী কালারমারছড়ার  জালাল জানান, করোনাভাইরাসের কারণে পান সরবরাহ না থাকায় মানুষ পান খাওয়া অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে পান রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও উৎপাদিত এলাকায় পানের সরবরাহ বেশি থাকায় সামগ্রিক কারণে বাজারে পানের দাম কম।

এছাড়াও উৎপাদন ভালো হলেও বড় যে পান করোনার প্রকোপের আগে বিক্রি ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে। সেই পান করোনাকালীন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিক্রি হয়েছে বিড়া প্রতি ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়। দাম কমার বিষয়ে কালারমারছড়াও আবদুর রহিম নামে এক কৃষক জানান, করোনার কারণে দূরদুরান্ত থেকে পাইকাররা আসতে পারছেন না। ফলে পান বিক্রয় কমে গেছে। তবে পানের দাম পুনরায় বৃদ্ধি পেলেও গাছে পান থাকায় চাষিরা লোকসান খেটে উঠতে পারবেনা।

মহেশখালী উপসহকারী কৃষি অফিসার কাইছার উদ্দিন জানায়, চলতি বছর মহেশখালীতে ১ হাজার ৬শহেক্টর জমিতে পান উৎপাদন হয়েছে ৪০ হাজার টন। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানচাষে জড়িত। করোনার কারণে চাষীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমান পানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় পান চাষীরা স্বস্তিতে আছেন বলে মন্তব্য করেন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION