শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
ইউসুফ আরমান:
আমার দাদা কে নিয়ে লেখার ভাবনা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু কি লেখবো? কি ভাবে লেখবো? তার কোন সূত্র খোঁজে পাচ্ছিলাম না। কারণ যার কোন দেখা পায় নি। দাদার সংস্পর্শ কখনো পায় নি। কেবল সবার মুখে গল্প শুনেছি। আমার দাদা ছিল গ্রামের একটি ভালবাসার বাতি ঘর। ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আমি বলছি…………
এ জীবন মধুময়
মধুময় পৃথিবীর ধূলি
রঙিন দুনিয়া, স্বপ্নিল পৃথিবী
তোমায় আমি অন্তরে নিয়েছি।
দাদা না থাকায় দুনিয়া অন্ধকার। দাদা যেমনই হোক না কেন নাত-নাতনীদের কাছে প্রত্যেক দাদাই প্রিয়। দাদা নাত-নাতনীদের কাছে বটবৃক্ষের মতো আলোর কুপি। দাদার জীবনী আমার জীবনকে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে শিক্ষা দেয়। সবার মতো আমার ও দাদা নিয়ে আবেগ আছে আকাশ ছোঁয়া। বাবা দিবস আছে কিন্তু দাদা দিবস নাই। দাদার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অপরিসীম।
আমার অদৃশ্য দাদা ছিল আমার জীবনের প্রাণশক্তি ও অনুপ্রেরণা। তিনি আমার অদেখা সত্যিকারের নায়ক। জীবনের সঙ্গে কিভাবে সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়, সেটি আমার দাদার জীবনের গল্প থেকে আমি শিখেছি। দাদা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
আমার দাদা আমির হামজা (জন্ম: ১৬ই ডিসেম্বর ১৮৯৯), তাঁর পিতার নাম- মরহুম মগবুল। মাওলানা আমির হামজা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের কক্সবাজার জেলায় টেকনাফ থানার অর্ন্তগত সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেপা গ্রামে একজন মুসলিম সম্ভ্রান্ত ও জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আমার দাদা ছিল অত্যন্ত নম্র ও মৃদু হাসির মানুষ। পারিবারিক জীবনে আমার দাদার ২ স্ত্রী, ৭ পুত্র, ৪ কন্যা কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।
আমরা অজ্ঞাতসারে দাদার সম্পর্কে যে সমীক্ষা করি, সেইটিই অন্যের নিকট ব্যক্ত করি এবং আমরা সেইভাবেই আমার প্রতি তাদের মনোভাব গড়ে তোলেন। উন্নত আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মানুষের বিশ্বাস যোগ্যতা ও দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছাও উন্নত হয়। এটি এখন ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। আমার দাদার নিকট অনেক খ্যাতমান মানুষের আগমন ঘটেছে। যা স্মৃতিময় এবং ভালবাসার বাতি ঘর রূপান্তর হয়েছে।
মানুষের কত রঙ্গিন স্মৃতি থাকে, শৈশব থাকে নানারকম বৈচিত্র্যতায় ভরপুর। এই শহরের কোটি মানুষের গল্প কোটি রকম৷ তারপরেও সবার জীবনেই দাদাকে নিয়ে নানা ধরণের গল্প থাকে।দাদার প্রতি নাত-নাতনীদের ভালোবাসার চিরন্তন আড়ালে-নিরবে-অপ্রকাশিত ভাবে প্রকাশ সব সময়ই ঘটে থাকে।
ভয়েস/আআ