বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
মহেশখালী উপজেলা: নুতন মুখ জয়নালই হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কক্সবাজার সদর:নুরুল আবছার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত কুতুবদিয়া ব্যারিস্টার হানিফ বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত কক্সবাজার সদর উপজেলায় রুমানা আক্তার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা, একই পরিবারের ৭ জন নিহত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ডর্টমুন্ড কক্সবাজারের ৩ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহন চলছে: কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক বাংলাদেশে ৩ দিনে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১২৮ সদস্য

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত ১৬৩৪ জন, ৪ জনের মৃত্যু

আবদুল আজিজ:

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সমুহে ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের ১০জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৬৩৪ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থা ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও কক্সবাজার শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিশেষ করে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ডেঙ্গুর বিস্তার বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্র বলছে, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এরপরও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সমুহে বেড়েই চলছে ডেঙ্গুজ্বর। গত জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের ১০জুলাই পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৪৯৫ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থা ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে ক্যাম্পে নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা: আবু তোহা ভূঁইয়া কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, বর্ষা মৌসুমে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে ৩নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুজ্বরের বিস্তার বেশি। পুরো ক্যাম্পে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ১৪৯৫ জন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শফিউল করিম কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। সাথে পেট ব্যাথা। স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ঔষুধ খেয়েছি। কোন কাজ হয়নি। পরে কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরিক্ষার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। আজ তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।

একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোহিঙ্গা যুবক নুর উল্লাহ কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে ক্যাম্পে চিকিৎসা নিয়েছি। ভাল না হওয়ায় ওখানকার চিকিৎসক জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এখানে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। ঔষুধ খাওয়ার পর এখন একটু সুস্থ্য মনে হচ্ছে। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্তের রোগি বেশি।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় বলছে, চলতি মাসের ১০ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৩৯ জন। ঈদের পরপরই শহরে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। হাসপাতালে দৈনিক ১০-১২ জন করে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই শহরের বাসিন্দা।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মুহাম্মদ আলমগীর কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, কক্সবাজারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক। গত জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের ১০ জুলাই পর্যন্ত ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্তের মধ্যে রোহিঙ্গারাও রয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ঈদের পর পর ই বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। জুলাই’র শুরু থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । বর্তমানে দৈনিক ১০/১২ জন করে রোগী আসছে হাসপাতালে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান কক্সবাজার ভয়েসকে জানান, বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্নস্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। একই সঙ্গে কক্সবাজারে সড়কের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এর কারণে অসংখ্য গর্তে পানি জমে ডেঙ্গুর পরিবহনকারি এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। ডেঙ্গু ঝুঁকি কমাতে মশারী ব্যবহার করা উত্তম।

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION