বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
মহেশখালী উপজেলা: নুতন মুখ জয়নালই হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কক্সবাজার সদর:নুরুল আবছার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত কুতুবদিয়া ব্যারিস্টার হানিফ বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত কক্সবাজার সদর উপজেলায় রুমানা আক্তার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা, একই পরিবারের ৭ জন নিহত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ডর্টমুন্ড কক্সবাজারের ৩ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহন চলছে: কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক বাংলাদেশে ৩ দিনে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১২৮ সদস্য

১৪ বছর পর জমি নিয়ে বিরোধে হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

জয়পুরহাট পাঁচবিবিতে জমিসংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাই সালেহ মোহাম্মদকে (৬৯) হত্যা মামলায় ছোট ভাইসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল।

সালেহ মোহাম্মদ হত্যা মামলার ১৪ বছর পর রায় ঘোষণার সময় ২০ জন উপস্থিত ও ২ জন আসামির অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বিচারক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আরিফুল, আবু নাসের, ডা. মো. শাহজাহান আলী, হাদিউজ্জামান, আশরাফ আলী, মোহাম্মদ আলী, লাল মোহাম্মদ ওরফে লাল মোহাম্মদ আলী, জহির, শামছুল আলম, সায়েম উদ্দিন, ওবাইয়দুল, সইম, আবু সাঈদ, রহিম, আবু বক্কর, বানু বেগম, সাহেরা বেগম।

সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ১৫ জন। আশরাফ আলী ও আবু সাঈদকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর চকপাড়া গ্রামে সালেহ মোহাম্মদ ফসলি জমি থেকে শ্যালো মেশিনের ঘর ভেঙে টিন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে কয়েক জন মিলে তাকে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে পানি খেতে চাইলে মুখে মরিচের গুঁড়ার পানি ঢেলে দেয়। এ সময় আসামিদের ভয়ে কেউ তাকে উদ্ধার করতে সাহস পাননি। একসময় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সালেহ মোহাম্মদ।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আজিজুল হক ওই দিনই ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন।

২০০৯ সালের ২৪ জুন মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুমিনুল হক এজাহারনামীয় আসামির সঙ্গে তিন জনের নাম তদন্তে যুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার বিচারক এ রায় দেন।

মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও উদয় সিংহ এপিপি। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নন্দকিশোর আগরওয়ালা ও হেনা কবির।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION