শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

জমজমের পানি পানে যত উপকার

মুফতি আইয়ুব নাদীম:
হজরত ইসমাইল ও তার মা হাজেরা (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক কূপ জমজম। এই কূপ মহান আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন। এই কূপের পানি পৃথিবীর সর্বোত্তম ও বরকতময়। এই কূপের পানি সম্পর্কে হাদিসে অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। সে সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরা হলো।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি : হজরত ইবনে আব্বাস সূত্রে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জমজমের পানি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ। এতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য এবং রোগ থেকে মুক্তি।’ (আল মুজামুল কাবির ১১১৬৭)

জমজম মুসলমান ও মুনাফিক পার্থক্যকারী : মুহাম্মদ বিন আবু বাকরা (রহ.) বলেন, আমি ইবনে আব্বাসের কাছে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? তিনি বললেন, জমজম কূপের কাছ থেকে। তিনি বললেন, তুমি কি তা থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ (তৃপ্তিসহ) পানি পান করেছ? সে বলল, তা কীভাবে? তিনি বললেন, তুমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর নাম স্মরণ করবে, তিন শ্বাসে পান করবে, আর পানি পান শেষে আল্লাহর প্রশংসা করবে। কারণ হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য এই যে, তারা তৃপ্তিসহ পানি পান করে না।’ (ইবনে মাজাহ ৩০৬১)

উদ্দেশ্য পূরণ হয় : হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে উদ্দেশে জমজমের পানি পান করবে, তা পূরণ হবে। যদি তুমি রোগমুক্তির জন্য তা পান করো তাহলে মহান আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করে দেবেন।’ (ইবনে মাজাহ ৩০৬২) এ কারণে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন, উলামায়ে কেরাম ও আল্লাহভীরু মুমিনরা জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন নিয়ত করতেন, যা পূরণ হওয়ার অসংখ্য ঘটনা ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান। হজরত ওমর (রা.) হাশরের ময়দানে পিপাসিত না হওয়ার নিয়তে জমজমের পানি পান করতেন।

আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) বলেন, ‘হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি জমজমের পানি পান করেছিলাম স্মৃতিশক্তিতে হাফেজ শামসুদ্দিন জাহাবি (রহ.)-এর স্তরে পৌঁছার নিয়তে।’ সুয়ুতি বলেন, ইবনে হাজার ওই স্তরে পৌঁছেছিলেন। এমনকি তার স্মৃতিশক্তি আরও অধিক প্রখর হয়েছিল।’ (তাবাকাতুল হুফফাজ ১/৫২২)

পান করার নিয়ম ও দোয়া : হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জমজমের পানি পেশ করতাম, তিনি তা দাঁড়িয়ে পান করতেন।’ (সহিহ বুখারি ১৬৩৭)

এসব হাদিস থেকে বুঝা যায়, কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তিন নিঃশ্বাসে জমজমের পানি পান করা উচিত। আর পান করার শুরুতে মহান আল্লাহর নাম স্মরণ করা এবং পেট ভরে পান করা। পান শেষে মহান আল্লাহর প্রশংসা করা। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বরকত ও উপকারের আশায় জমজমের পানি পান করার সময় এ দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফি’আ, ওয়া রিজকান ওয়াছি’আ, ওয়া শিফা’আম মিন কুল্লি দা’।’ অর্থাৎ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে উপকারী এলেম, হালাল প্রশস্ত রিজিক এবং সর্বপ্রকার রোগের শিফা কামনা করছি।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION