শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ড. ইউনূচের পাশে কে এই জাহিন? মাহফুজ-তিথির সঙ্গে কীভাবে তিনি মঞ্চে এলেন?

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
নিউইয়র্কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে থাকা এক তরুণকে নিয়ে চলছে আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তাকে ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ’ সরকারের সংশ্লিষ্ট হিসেবে দাবি করেছেন। ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে তাকে সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা গেছে। ওই তরুণকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহফুজ আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, তৃতীয় তরুণের নাম জাহিন রোহান রাজিন। তিনি হাইড্রোকো প্লাস’র প্রতিষ্ঠাতা।

এ বিষয়ে জাহিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম সিজিআই ফেলো হিসেবে। ড. ইউনূস ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে যখন ডাকলেন, তখন আমি দর্শক সারিতে ছিলাম। পাশে ছিলেন দুই বিদেশি ভদ্রলোক। তারা আমাকে বললেন, তুমি বাংলাদেশি তরুণ, তুমিও যাও। তাই আমি কিছু না ভেবেই স্টেজে উঠে গিয়েছি।’

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ইউনূস অ্যান্ড ইয়ুথ ফেলো আমি। আমার প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকো প্লাসের কাজ এগিয়ে নিতে আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছিলাম। নিউইয়র্কে সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন শুনে খুশি হয়েছিলাম এ কারণে যে, তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হবে।

সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সঙ্গে ছবি ছড়ানো প্রসঙ্গে জানতে জাহিন বলেন, ২০২২ সালে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে একটা কাজ করে হাইড্রোকো প্লাস। সে কাজের জন্যই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হয়েছিল। সে সময় ছবিটি তোলা। এটি কীভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলো, তা জানি না। আন্দোলনের সময় দেশেই ছিলাম। এ আন্দোলন সমর্থন না করার প্রশ্নই আসে না।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের ডেকে নেন। তখন মঞ্চে ওঠেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ড. ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি ও আরেক তরুণ। ওই তরুণই হলেন জিহান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ নন।

মাহফুজ আলম অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠা তৃতীয় তরুণকে অনুপ্রবেশকারী বা ‘ইনট্রুডার’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ। তিনি নিজ ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজনে যোগ দেন।

মাহফুজ আলম বলেন, তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতাম না আমরা। তিনি ডেলিগেশন দলের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি। স্যার যখন আমাদের মঞ্চে ডাকেন, তিনি তড়িঘড়ি করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে ছুটে যান। সন্দেহ হলেও তার মঞ্চে যাওয়া আমি আটকাতে পারিনি। বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য অসহায় বোধ করছিলাম। মনে হচ্ছে, এটি ছিল ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর পূর্বপরিকল্পিত কাজ। আমি আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও সতর্ক থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন মাহফুজ আলম।

ভয়েস/আআ/সূত্র: ঢাকা পোষ্ট

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION