শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ারকে গলায় ছুরিকাঘাতের মূলহোতা নাছির ও সহযোগী এনামকে দুইটি দেশিয় তৈরী বন্দুকসহ গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
শনিবার সকাল ১০ টায় এ তথ্য জানিয়েছেন, র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তাররা হল, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী রিজার্ভপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩৮) এবং একই ইউনিয়নের মাইজপাড়ার মৃত নুরুল আলমের ছেলে এনামুল হক (৫০)।
র্যাব জানিয়েছে, ঘটনায় দায়ের মামলায় এ পর্যন্ত প্রধান আসামি মো. বাবুল ওরফে বাবুল ডাকাতসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে॥
আবুল কালাম বলেন, সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজীম ছারোয়ার হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা যৌথ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার ভোর রাত চকরিয়া উপজেলার কাহারিয়াঘোনা এলাকায় সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন আসামি অবস্থান করছে খবরে যৌথ বাহিনীর একটি অভিযান চালায়।
এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ২ জন সন্দেহজনক লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশী করে দেশিয় তৈরী দুইটি বন্দুক ও ৩ টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “ গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার তথ্য স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে নাছির উদ্দিন সেনা কর্মকর্তা তানজিমকে গলায় ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন এনামুল হক। “
গ্রেপ্তারদের চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরী।
এর আগে গত সোমবার রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজরা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় অভিযানের সময় ডাকাতের ছুরিতে মারা যান লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন।
বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ সদস্য ও সেনা সদস্য বাদী হয়ে পৃথক আইনে চকরিয়া থানায় মামলা দুইটি করেন।
আইএসপিআর জানিয়েছিল, রাতে পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর আসে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সেখানে পৌঁছান।
অভিযানের সময় ৭-৮ সদস্যের ডাকাত দলটির কয়েকজনকে তাড়া করেন লেফটেন্যান্ট নির্জন। এ সময় ডাকাতরা নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রেজাউল করিমের বাড়ি ও আশপাশ থেকে ছয় জন ডাকাতকে আটক করে। এছাড়া ২টি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণকারী নির্জন পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি মিলিটারি একাডেমি থেকে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে কমিশন লাভ করেন।
ভয়েস/আআ