শুক্রবার, ২৭ Jun ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চীন রাশিয়া মার্কিনিদের মধ্যে মুদ্রাযুদ্ধ আসন্ন!

গোবিন্দ শীল:
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম যেন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে সাধারণ অর্থনৈতিক সূত্র কাজ করছে না বলে মনে হতে পারে। গত দশ বছরে ২৪ ক্যারেট সোনার মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে যা অন্য কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে ঘটেনি। গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এক আউন্স বা ২৮.৩৫ (প্রায়) গ্রাম খাঁটি সোনার দাম দাঁড়ায় ২,৬৩৬ ডলারে যা ২০১৪ সালে ছিল ১,২৬৬ থেকে ১,৩৭৯ ডলারের মধ্যে। ২০০১ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা হয়, সে বছরে সোনার আউন্স ছিল ২৭১ ডলার। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিশেষত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম আকাশচুম্বী হতে শুরু করে। অবস্থা যা হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে সোনার গয়না কেনা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে, ২০১৪ সালে তামার দাম ছিল টনপ্রতি ৬,৮৬৩ ডলার যা এ বছর ৮,৪৯০ ডলার হয়েছে। অর্থাৎ, তামার দাম বেড়েছে এক দশকে দেড়গুণ আর সোনার দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

স্বর্ণ সব সময় অমূল্য রতন

আমরা ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য জানি,Old is Gold অর্থাৎ যা কিনা পুরাতন, তা স্বর্ণের মতোই মূল্যবান। অনেকে বলছেন, আরেকটি প্রবাদ হওয়া উচিত Old is Gold কেননা এটির ব্যবহার সিন্ধু সভ্যতা ও ভারতের প্রাচীন মন্দিরগুলোতে দেখা গেছে। হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারোতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজে দেখা যায়, সিন্ধু উপত্যকায় খ্রিস্টপূর্ব ২,৬০০ অব্দ থেকে ১,৯০০ অব্দে সোনার গয়নার ব্যাপক ব্যবহার ছিল। ঋগে¦দে মূল্যবান ধাতু হিসেবে হিরণ্যের (সংস্কৃত শব্দ) কথা অনেকবার উল্লেখ করা হয়েছে যা আসলে স্বর্ণকেই বোঝায়। এদিকে, প্রাচীন চীনেও স্বর্ণমুদ্রার ব্যবহার দেখা গেছে (৪৭৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ থেকে ২২১ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ)। সে সময় সাধারণ মানুষের জন্য ব্রোঞ্জের মুদ্রা ও অভিজাত লোকেদের জন্য সোনার মুদ্রা ব্যবহৃত হতো। একইভাবে, প্রাচীন মিসর এবং আরও অন্যান্য সভ্যতায় সোনার ব্যবহার দেখা যায়। অর্থাৎ প্রাচীন নানা সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে সর্বজনীন মূল্যবান সম্পদগুলোর মধ্যে একটি ছিল স্বর্ণ। রাজকীয় কোষাগার, মন্দির এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্র্তৃপক্ষ তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শক্তি প্রদর্শনের জন্য বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ মজুদ করত।

স্বর্ণমূল্য কখন বৃদ্ধি পায়?

এ প্রশ্নটির পরিষ্কার উত্তরই আমরা পেতে চাই। এই ধাতব পদার্থটির একটি উৎপাদন খরচ আছে। সোনার মূল্য প্রচলিত অর্থনীতির জোগান ও চাহিদার সূত্র মেনে চলে। তবে, আরও কিছু বিষয় থাকে যা ঠিক সূত্রের আওতায় পড়ে না। করোনা মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলারকেই বেছে নিয়েছিল। তাই বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের মূল্য বেড়েছে। ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়া মানে স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম বা মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণ কেনার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। যেহেতু COVID-19 বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছিল, তাই মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানো এবং বন্ড-ক্রয় কার্যক্রম বাড়িয়ে বাজার এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলোর কারণে, বিনিয়োগকারীরা স্থিতিশীল ও লাভজনক সম্পদ (সোনা) কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছিল। ভারতীয় একজন শিক্ষক (বি. ভগবান দাস, এশিয়ান কলেজ অব জার্নালিজম) গবেষণা করে দেখিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেলে স্বর্ণের দামও সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। কেননা, তেলের মূল্য স্থানীয় বাজারে মূল্যস্ফীতি তৈরি করে আর তখনই বড় বড় বিনিয়োগকারী/ব্যবসায়ীরা এমনকি সাধারণ মানুষ ঝুঁকিবিহীন সম্পদ স্বর্ণ কেনার দিকে মনোযোগী হন। তবে, ক্রমাগতভাবে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ার গূঢ় আরও কিছু কারণ রয়েছে। চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা, বৈশ্বিক প্রধান প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে আর্থিক দ্বন্দ্ব, রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, উন্নত অর্থনীতিতে রেকর্ড পরিমাণ সুদের হার এবং চলমান একাধিক যুদ্ধ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এ কারণে, তারা সম্পদ গচ্ছিত রাখার ‘নিরাপদ আশ্রয়’ সন্ধান করছে যেখানে সোনা সবার কাছেই ঐতিহ্যগতভাবে পছন্দনীয়। এটি সম্পদের নিরাপদ আশ্রয়ই শুধু নয়, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভূ-রাজনৈতিক সংকট এবং বাজার মন্দার সময় সম্পদের একটি সুনিশ্চিৎ সুরক্ষা দেয়।

উৎপাদন খরচ বেড়েছে ও সোনার চাহিদা বাড়ছে

খনিতে সোনা উৎপাদনের খরচ বাড়ছে। এক আউন্স সোনা উৎপাদনের জন্য কর ও রয়্যালটি-সহ ২০২২ সালে খরচ হয়েছে ১,২৭৬ ডলার। আর এ বছরে প্রথম তিন মাসে সোনার উৎপাদন হয়েছে ৮৯৩ মেট্রিক টন। যদি এই হারেই উৎপাদন অব্যাহত থাকে, তবে বছর শেষে মোট উৎপাদন হতে পারে ৩,৫৭২ মেট্রিক টন সোনা। তবে, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এটির রিসাইক্লিংও বেড়ে যাচ্ছে, সে হিসেবে প্রকৃত উৎপাদন আরও কিছুটা বাড়তে পারে। মাত্র দু-বছর আগে সোনার উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩,৬১২ টনে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী সোনা উৎপাদন ২০২৪ সাল পর্যন্ত গড়ে বার্ষিক ১.৮০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে যা ২০২৫ সালে ৩,৭৫০ টনে গিয়ে দাঁড়াবে। উৎপাদন বৃদ্ধির মূল কারণ হবে কানাডায় নতুন খনি চালুর পরিকল্পনা। যাই হোক, ২০২২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নাটকীয়ভাবে স্বর্ণ কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২২ সালে ১,০৮২ টন সোনা কেনে, যা কিনা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

সাম্রাজ্যবাদী ইংল্যান্ডকে প্রতিস্থাপন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

যখন যে দেশ সাম্রাজ্যবাদী ভূমিকায় ছিল, তখন তার মুদ্রা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। উপনিবেশগুলো তাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের মাধ্যম হিসেবে সংশ্লিষ্ট সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের মুদ্রাকেই বেছে নিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ উপনিবেশগুলো স্বাধীন হতে থাকলে এবং সেই সঙ্গে মার্কিন অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ডলারের কদর বেড়ে যায়। রিজার্ভ মুদ্রা আন্তর্জাতিক লেনদেন, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ এবং বিশ্বঅর্থনীতির নানাবিধ হিসাব-নিকাশে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি হার্ড মুদ্রা বা নিরাপদ আশ্রয় মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হয়। ডলারের আধিপত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের চলতি হিসাবের বড় ধরনের ঘাটতি বজায় রাখতে সহযোগিতা করে। এতে করে তারা রপ্তানি থেকে আমদানি করে অনেক অনেক বেশি। ফলে মার্কিনিরা ‘কৃত্রিমভাবে’ জীবনযাত্রার মান উন্নত করে রেখেছে। এছাড়াও, এই আধিপত্য মার্কিন করপোরেশনগুলোর বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ খরচ (ঋউও) হ্রাস, বিশ্ব জুড়ে সম্প্রসারণকে ত্বরান্বিত এবং ওয়াশিংটনকে সহজেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামরিক কার্যক্রমে অর্থায়ন করতে দেয়। তবে এবার সোনা কেনার হিড়িক দেখে মনে হচ্ছে, চীন-রাশিয়া ও মার্কিনিদের মধ্যে একটি ‘মুদ্রাযুদ্ধ’ আসন্ন।

ডলারের জন্য কাল হয়েছে রাশিয়া ও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসে। বিভিন্ন স্থানে সঞ্চিত ডলারের রিজার্ভ রাশিয়া ব্যবহার করতে পারছে না। আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তাদের ডলার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে অন্য কোনো দেশ বাণিজ্য করতে চাইলে তারাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় চলে আসতে পারে। এর আগে, ২০১২ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কের জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ফলে ইরানের তেল বিক্রি স্থবির হয়ে পড়ে এবং দেশটি আর্থিকভাবে অনেক দুর্বল হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে, মার্কিন সরকার পরিবর্তন হলে ইরান ২০১৫ সালে দরকষাকষির টেবিলে আসে। সেখানে তেহরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে সম্মত হলে ইরানের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু, ইরান ও রাশিয়া এই ঘটনায় পাশ্চাত্যের সুইফ্ট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) ব্যবস্থা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। তেহরান এবং মস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমের সুইফট ফিনান্সিয়াল ক্লিয়ারিং সিস্টেম থেকে বের হয়ে সরাসরি নিজেদের মুদ্রায় বাণিজ্য নিষ্পত্তি করতে রাজি হয়।

ডলার এখনো বাণিজ্য নিষ্পত্তির মূল মুদ্রা

ডলারে বাণিজ্যিক লেনদেন যথেষ্ট প্রভাবশালী রয়ে গেছে। ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক জরিপ অনুসারে, ২০২২ সালের হিসাবে ডলার সমস্ত আন্তর্জাতিক লেনদেনের ৮৮ শতাংশ নিষ্পত্তি করে। এদিকে, ইউরো আন্তর্জাতিক লেনদেনের ৩১ শতাংশ, ইয়েন ১৭ শতাংশ, পাউন্ড ১৩ শতাংশ, চীনের রেন মিন বি মাত্র ৭ শতাংশ, (যা ২০১৯ সালের ৪ শতাংশ থেকে বেড়েছে) নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, বৈশ্বিক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের একটি অংশ হিসাবে ডলারের অবদান কমে আসছে। বিশ্বজুড়ে ডলারে রিজার্ভের অংশ ছিল ২০০০ সালে ৭২ শতাংশ যা এখন প্রায় ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। ডলারের কদরের কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ঋণ ও ঘাটতি দুটোই বাড়াচ্ছে। গত বছরের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭৭৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণ রয়েছে তাদের। এক হিসেবে দেখা যায়, ২০২১ সালে বিদেশি সংস্থা ও দেশের কাছে মার্কিন ট্রেজারি সিকিউরিটির মোট পরিমাণ ছিল ৭.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে ছিল ৭.১ ট্রিলিয়ন।

অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে

রাশিয়ার নেতৃত্বে ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) আলোচনা করছে কীভাবে ডলারের আধিপত্য থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন গত বছর ডলারের জন্য ‘শেষের শুরু’ বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বর্তমান চেয়ার দিলমা রুসেফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ডলারকে ‘এড়িয়ে যাওয়ার উপায়গুলো খুঁজে বের করার …।’ ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী এর আগে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা দিয়ে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নও সম্প্রতি ডলারের আধিপত্য এড়াতে চাওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীন একটি ইইউ-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডলার-বিহীন সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বর্ণের মজুদ বৃদ্ধি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো

মধ্যপ্রাচ্যের সংকট, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে মার্কিনিদের নানাবিধ বিরোধ এবং বড় দেশগুলো সম্ভাব্য কোনো বৈশ্বিক সংকট মাথায় রেখে সোনার মজুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্যমতে, ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনার মজুদ রেখে সারা বিশ্বে সর্বাধিক সোনা মজুদের অধিকারী হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের জার্মানি, ৩ হাজার ৩৫১ দশমিক ৫৩ টন, তৃতীয় অবস্থানে ইউরোপের ইতালির রয়েছে ২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন সোনা। এরপর, ফ্রান্সের আছে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন সোনা। সোনা মজুদে পঞ্চম স্থানে রাশিয়ার আছে ২ হাজার ৩৩৫ দশমিক ৮৫ টন সোনা। এদিকে, ষষ্ঠ অবস্থানে আছে চীন। তাদের মজুদে রয়েছে ২ হাজার ২৬৪ দশমিক ৩২ টন সোনা।

লেখকঃ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

govindashil@gmail.com

ভয়েস/আআ/সূত্র: দেশরূপান্তর

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION