বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের জনগণকে বিপাকে ফেলতে ‘ভারত দুঃস্বপ্ন’ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা (ভারত) মনে করেছেন, আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ আর তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবে না…। আদা, রসুন, সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা আর তরকারিতে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবো না।”
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গুলশানে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের বর্তমান অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরের কাছে ‘দেশি পণ্য কিনে হও ধন্য’ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে দেশীয় পণ্য বিক্রি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে সুলভ মূল্যে শাড়িসহ বিভিন্ন কাপড় বিক্রি উদ্বোধন করেন রিজভী।
‘‘না। এটা তো আপনারা (ভারত) দুঃস্বপ্ন দেখছেন যে এদের আমরা পানিতে, ভাতে, তরকারিতে বঞ্চিত করবো। আপনারা পশু রফতানি, বিশেষ করে গরু রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ গ্রামের বাড়িতে গরু-ছাগলের খামার গড়ে তুলে এক কোরবানির ঈদে এক কোটি ২০ লাখ গবাদিপশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিবছর মাংসের যে প্রয়োজন হয় সেটির ব্যবস্থা করেছেন।”
রিজভী বলেন, ‘‘আপনারা ভুলে যাবেন না বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত শ্রমপ্রিয়, কষ্টপ্রিয়… তারা তাদের প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ, রসুন, আদা, যেগুলো আমরা আমদানি করি সেগুলো উৎপাদন করতে এবং অতিমাত্রায় উৎপাদন করতে পিছপা হয় না।”
‘‘আপনারা মনে করেন আপনারাই শুধু সব কিছু উৎপাদন করেন… পৃথিবীতে আর কোনও দেশ নাই যাদের কাছ থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবো… যাদের কাছ থেকে আমরা রসুন-তেল আমদানি করতে পারবো… যাদের কাছ থেকে পামঅয়েল, সয়াবিন তেল আমদানি করতে পারবো। সেসব দেশ কী নেই? সেসব দেশ আছে। আপনারা মনে করেছেন, এগুলো বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা কাহিল হবে। এটা আপনাদের দুঃস্বপ্ন।”
তিনি বলেন, ‘‘বরং অবস্থা কাহিল হয়েছে আপনাদের। কলকাতা নিউ মার্কেটের কোনও দোকান চলে না… আপনাদের মার্কেটগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম… আপনাদের কলকাতার হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।”
‘‘কারণ বাংলাদেশের মানুষজনই কলকাতায় গিয়ে, ভারতে গিয়ে ডলার খরচ করে সেখানে কেনাকাটা করতো, তারা সেখানে চিকিৎসা করতো। আপনাদের হাসপাতাল আর চলবে না।”
রিজভী বলেন, ‘‘আপনারা এসব বন্ধ করে দিয়ে মনে করেছেন যে বোধহয় বাংলাদেশের মানুষ এতে অস্থির হয়ে গেছে। না…। বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত এখন। আমরা বলি, আমাদের অনেক মেডিক্যাল কলেজ আছে, অনেক হাসপাতাল আছে… আপনারা কীসের অহংকার করেন। এখন বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজনে থাইল্যান্ড যাবে, মালয়েশিয়া যাবে, ইন্দোনেশিয়া যাবে কিংবা অন্য দেশে যাবে।”
‘যারা আমাদের ঘৃণা করেন, সেই দেশে বাংলাদেশের মানুষ যেতে চায় না। কারণ রক্তমূল্য দিয়ে স্বাধীনতা কেনা। এই জাতিকে আপনি বঞ্চিত করে, ভয় দেখিয়ে নতজানু করবেন—সেই জাতি বাংলাদেশ নয়।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, অমলেন্দু দাস অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের জাহিদুল কবির, ছাত্রদলের তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস/জেইউ।