রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
মাওলানা মনিরুজ্জামান:
মুমিন জীবনের সার্থকতা লুকিয়ে থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাঝে। কখনো কখনো খুব সাধারণ ও ছোট কোনো আমল আল্লাহর কাছে এতটাই প্রিয় হয়ে ওঠে যে, তার বিনিময়ে বান্দা লাভ করেন অভাবনীয় মর্যাদা। তেমনই এক ঘটনা হলো, এক সাহাবির জানাজায় অংশ নেন ৭০ হাজার ফেরেশতা।
তিনি হলেন মুয়াবিয়া ইবনে মুয়াবিয়া আল-মুযানি (রা.)। তিনি ইন্তেকাল করলে ৭০ হাজার ফেরেশতাসহ জিবরাইল (আ.) নবীজি (সা.)-এর কাছে আগমন করেন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরাইল (আ.) এবং এসব ফেরেশতাদের নিয়ে তার জানাজায় শরিক হন।
নামাজ শেষ হলে নবীজি (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে জিবরাইল! কোন আমলের মাধ্যমে মুয়াবিয়া ইবনে মুয়াবিয়া আল-মুযানি এ উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে?
জবাবে জিবরাইল (আ.) বলেন, এ মর্যাদা লাভের কারণ হলো, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটে হেঁটে, বাহনে চড়ে তথা সর্বাবস্থায় সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করত। (মু’জামে কাবির)
সুরা ইখলাস কোরআনের ক্ষুদ্র সুরাগুলোর অন্যতম। সুরা কাওসারের পর এই সুরাই সবচেয়ে ছোট। সুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরক্তি, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য, ভক্তিপূর্ণ উপাসনা। এই সুরা হিজরতের আগে মক্কার প্রথম যুগে অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা চারটি।
ইখলাস বলা হয়, শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে। এ সুরার মর্মার্থের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইখলাস।
আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে রাতে বারবার সুরা ইখলাস পড়তে শুনেছেন। অতঃপর সকালে মহানবী (সা.)-কে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন মহানবী (সা.) বলেন, ‘ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতের হাতে আমার জীবন, অবশ্যই এ সুরা কোরআন মাজিদের এক- তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ বুখারি)
লেখক : খতিব ও শিক্ষক