রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
জনপ্রিয় তারকা কুসুম সিকদার। অভিনয়ে লম্বা বিরতি থাকলেও সম্প্রতি শোবিজে ফিরেছেন। আসছেন নতুন মিউজিক্যাল ফিল্ম নিয়ে। সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি
বিরতি কাটিয়ে…
চাইলেই ফেরা যায়; শুধু প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি। বেশ লম্বা সময়ের অভিনয় বিরতি ভেঙে গেল ঈদের আয়োজনে ‘তারার মেলা’ নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। সম্প্রতি ‘মরীচিকা মায়া’ শিরোনামে নতুন একটি গান গেয়েছি। এ গানের মডেল হিসেবেও আমাকে দেখা যাবে। বঙ্গ ইউটিউব থেকে ২০১৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমার মিউজিক্যাল ছবি ‘নেশা’। তার পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন গানটি করেছি। ‘এইদিন হোক রঙিন/ পূর্ণতায় অমলিন’ এমন কথার গানটি যৌথভাবে লিখেছি আমি ও সন্ধি। সুর-সংগীতও সন্ধির করা। মিউজিক্যাল ফিল্মটি নির্মাণ করেছেন রায়হান খান। সিনেমার ঢঙেই মিউজিক্যাল ছবির দৃশ্য ধারণ হয়েছে। গল্পের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কক্সবাজার ও টেকনাফের মনোরম লোকেশনে দুই দিন ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে এর শ্যুটিং করেছি। আশা করছি, গানটি শ্রোতা-দর্শকের ভালো লাগবে। সাত মিনিটের এ মিউজিক্যাল ফিল্ম মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হলেও প্রকাশের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
অভিনয়ের বাইরে…
অভিনয় ও উপস্থাপনার পাশাপাশি কৈশোর থেকে লেখালেখিতে ঝোঁক আমার। ‘নীল ক্যাফের কবি’ নামে কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। গত বছর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে গল্পের বই ‘অজাগতিক ছায়া’। পাশাপাশি গান নিয়েও টুকটাক কাজ করা হয়েছে। অখ- অবসরে প্রচুর সিনেমা দেখি। শপিং করতে ভীষণ ভালো লাগে। টিভি দেখার সময় না পেলেও ইউটিউবে নাটকের ছোট ছোট ক্লিপ দেখে মুগ্ধ হই। এখনকার নাটকের গল্প বলার ধরন, শিল্পীদের অভিনয় সবকিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন টিভি নাটককে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
ফিরে দেখা…
মিডিয়া ক্যারিয়ারে দুই দশক পার করে দিলাম। ‘লাক্স-আনন্দধারা মিস বাংলাদেশ ফটোজেনিক’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০০২ থেকে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয়। সংগীতশিল্পী হতে গিয়ে অভিনয়শিল্পী হয়েছি। ছোটবেলা থেকে দীর্ঘদিন নজরুল একাডেমিতে গান শিখেছি। জানতামই না, কী করে অভিনয় করতে হয়। লাক্স থেকে বের হয়ে অভিনয়ে সম্পৃক্ত হয়েছি। সুতরাং বলতে পারি একেবারে জিরো থেকে এখানে এসেছি। একটু একটু করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। পুরোটাই আমার নিজের প্রচেষ্টায় করেছি। আমাকে কেউ সাহায্য করেনি। এই চলার পথে রিয়েলিটি শোর মুকুটটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। বড় প্ল্যাটফর্ম থেকে আসার কারণে কিছু কাজের সুযোগ এমনিতেই চলে আসছিল। অভিনয় শেখার সফর আমার কাছে আনন্দদায়কই ছিল। আনন্দের মধ্যে কিছু বেদনা, চাওয়া, না পাওয়া থাকে। এটা যে কোনো কর্মক্ষেত্রে থাকবে। সবকিছু ছাপিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে গড়ে তোলার আনন্দ নিয়ে এগিয়ে গেছি। অর্জনও ছিল অনেক। দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। ২০১৮ সালে ‘শঙ্খচিল’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছি। তারপর এখন যে আমি থেমে আছি, এটাও জীবনের আরেক অধ্যায়। সব মিলিয়ে পেছনে ফিরে তাকালে আনন্দময় যাত্রাই দেখি। সত্যিই এ যাত্রা বর্ণিল, উপভোগ্য।
ভয়েস/আআ